Breaking News

বিসিএস পরীক্ষার জন্যঃ উপজাতি বিষয়ক A to Z প্রশ্ন-উত্তর




১। বিখ্যাত মণিপুরী নাচ যে অঞ্চলের ?( ২২তম বিসিএস )
= সিলেট
২। যে বাংলাদেশি উপজাতির পারিবারিক কাঠামো পিতৃতান্ত্রিক (২৫ ও ১৪তম বিসিএস )
= গারো ও খাসিয়া ব্যতীত বাকি সব গুলো
৩। হাজংদের অধিবাস কোথায় ?(২৮তম বিসিএস )
= ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা

৪। বাংলাদেশের উপজাতীয় প্রতিষ্ঠান আছে কয়টি ?(৩১তম বিসিএস )
= আপডেট নিয়ে পড়বেন
৫। খাসিয়া গ্রামগুলো পরিচিত ( ৩৫তম বিসিএস )
= পুঞ্জি
৬। ‘ঝুম’ চাষ পদ্ধতিতে বাংলাদেশের কোন জেলাসমূহে দেখা যায় ? ( ৩৫তম বিসিএস )
= চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলাসমূহে
৭ । যে উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ধর্ম ইসলাম (৩৬তম বিসিএস )
= পাঙন
৮। যে জেলায় হাজংদের বসবাস নেই (৩৭তম বিসিএস )
= সিলেট
এ সম্পর্কিত কিছু আপডেট তথ্য

১। বাংলাদেশে উপজাতি তথা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংখ্যা কত ?
= ৪৫টি (সূত্র : আদম শুমারি-২০১১ , আদিবাসি ফোরাম ) । ৪৮টি ( পাবর্ত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের ওয়েব সাইট , সরকার কর্তৃক গৃহিত ।)
২। পার্বত্য চট্টগ্রামে কতটি উপজাতি বাস করে ?
=১১টি ( প্রচলিত উত্তর) । ১২ টি (সূত্র : সরকারি হিসাব ) । ১৩ টি ( পাবর্ত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের ওয়েব সাইট । )
৩। বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী মোট জনসংখ্যার
= ১.১০% (সূত্র : আদম শুমারি-২০১১)
৪। কতটি উপজাতির নিজস্ব ভাষা রয়েছে ?
= ৩২টি
৫। বাংলাদেশের বৃহত্তম উপজাতি কোনটি ?
= চাকমা
৬. মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য তাঁকে বীরপ্রতীক খেতাব দেওয়ার ঘোষণা দেয়া হয় কাকে ?
=
কাকন বিবি । তিনি ১৯৭১ সালে সংঘটিত বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের এক বীরযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা ও গুপ্তচর ছিলেন । মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তিনি পাকিস্তানী বাহিনীর বিপক্ষে মুক্তিবাহিনীর হয়ে গুপ্তচরের কাজ করেন। তাঁর বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার লীপুর ইউনিয়নের ঝিরাগাঁও গ্রামে।
তিনি খাসিয়া সম্প্রদায়ের ছিলেন ।
৭. একমাত্র খেতাবপ্রাপ্ত আদিবাসী/উপজাতি মুক্তিযোদ্ধা
– ইউ কে চিং (বীর বিক্রম) । ইউ কে চিং ছিলেন—মারমা উপজাতি ।

এবার প্রধান প্রধান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিই

১. চাকমা
চাকমা(তারা নিজেরা বলে চাঙমা)
—————————————
জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের বৃহত্তম ক্ষুদ্র জাতিসত্তা । বাস করে > রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি , বান্দরবান ও চট্টগ্রামে।
,
প্রধান খাবার > ভাত
প্রধান জীবিকা > জুম চাষ
পোষাক >> নারীদের পোষাকের নাম > পিনন -হাদি।
গ্রাম প্রধান >> কারবারি
ধর্ম >> বৌদ্ধ
প্রধান ধর্মীয় উতসব > বৌদ্ধ পূর্ণিমা
শ্রেষ্ট উতসব>>>>> বিজু (বাংলা বছরের শেষ দুই দিন ও নতুন বছরের প্রথম দিন।
অন্যান্য উতসব>> মাঘী পূর্ণিমা , কঠিন চীবরদান ।

২.মারমা
আবাস >> বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, ।
গ্রাম প্রধান>> রোয়াজা বা কারবারি
প্রধান খাবার > ভাত ও সিদ্ধ সবজি।
প্রিয় খাবার >> নাম্পি বা শুঁটকি মাছের ভর্তা
পোষাক >> থামি ও আংগি।
ধর্ম >> বৌদ্ধ ।
উতসব >> প্রতি মাসে ল্যাব্রে নামক একটি উতসব পালন করে । যার অর্থ পূর্ণচন্দ্র / পূর্ণিমা । জলের উতসব। বাংলা নববর্ষের দ্বিতীয় দিন ‘সাংগ্রেইন‘ উতসব পালন করে ।
৩. সাঁওতাল
———–
আবাস>> দিনাজপুর, রাজশাহী, নওগাঁ, বগুড়া, চাপাইনবাবগঞ্জ ও রংপুর।
.
প্রধান খাবার > ভাত । বিশেষ খাবার >> নলিতা বা পাটশাক।
.
পোষাক >>> দুই খন্ড কাপড় । উপরের অংশ >> পাঞ্চি আর নিচের অংশ পারহাট ।

.
উত্সব
————
১। ফসল তোলার পর পৌষ মাসে >> সোহরায়
২। ঘর বানানোর জন্য বন থেকে খড় কুড়ানোর উত্সব মাঘ মাসে >> ‘‘মাঘ সিম ‘’
৩। অমাবস্যায় বসন্তের উত্সব (ফাল্গুন মাসে)> >> বসন্তোত্সব
৪।আষাড় মাসে প্রত্যেক পরিবার থেকে একটি মুরগি এনে পূজা দেওয়ার উত্সব >> “এর কংসিম ‘‘
৫। ভাদ্র মাসে ফসলের জন্য বোঙাদের বারোয়ারি ভোগ দেওয়ার উত্সব >> হাড়িয়ার সিম
৪.মণিপুরি
—————-
আবাস >> সিলেট, মৌলভীবাজার , হবিগঞ্জ। অধিকাংশ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ।
গোত্র দুটি >> বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি , মৈ তৈ মণিপুরি ।
তাদের বিখ্যাত সংস্কৃতি হল >>> নাচ
মুসলিম গোষ্টী >> মৈ তৈ পাঙন ।
ধর্ম >> সনাতন ।
খাবার > ভাত, মাছ, শুঁটকি , সবজি। মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ। সবজির পাতা দিয়ে তারা েএক ধরণের সালাদ খেতে পছন্দ করেন যার নাম >> সিঞ্চেডা
পোষাক>> নারীরা ‘লাহিং আর আহিং এবং ওড়না। পুরুষরা > ধুতি ও পাঞ্জাবি ।
উত্সব >> রথযাত্রা , দোলযাত্রা , হোলি উত্সব , চৈত্র সংক্রান্তি , রাসপূর্ণিমা

<<<<<৫.গারো>>>>>>>
====================
গারো জনগোষ্ঠী নিজেদের পরিচয় দেয় —-আচিমকান্দি বা পাহাড়ি মানুষ হিসেবে
গারো জনগোষ্ঠী নাম ছিল —–নকমান্দি
গারোদের ভাষা —— অবেং
গারদের সনাতনী ধর্মের নাম —- সাংসারেক
গারোদের উৎসবের নাম —–ওয়াংগালা
ওয়াঙ্গালা কিসের প্রতিক — সূর্যের
জমির উর্বরতার দেবতা —- সালজং
গারোদের বসবাস — ময়মনসিংহ , টাঙ্গাইল , নেত্রকোনা , হালুয়াঘাট , বিহত্তর সিলেট , সুনামগঞ্জ
দকবান্দা বা দকশারি পোশাক কাদের ???? — গারো পুরুষের
///////৬.খাসি //////
======================
খাসি মেয়াদের পোশাক — কাজিম পিন নামক ব্লাউজ ও ফুংগ মারুং লুঙ্গি
খাসিদের প্রধান দেবতার নাম —- উব্লাই নাংথুউ
খাসিরা পান চাস করে — ওদের নার বা প্লার জনগোষ্ঠী পান চাষ করে
পার্বত্য অঞ্চলে মারুসা হিসেবে পরিচিত —- মরও (mro ) —মুরং
খাসিদের বসবাস — সিলেট , মৌলভীবাজার , শ্রীমঙ্গল ও হবিগঞ্জ
অতীতে সিলেট এর রাজ্য — জয়ন্তা বা জইন্তিয়া ( এখানে খাসিয়াদের জাতিসত্তা বাস করত )
////// ৭.ম্র //////
============================
ম্রদের বাড়ির নাম — কিম
ম্রদের অন্যতম সুস্বাদু খাবার এর নাম —– নাম্পি
ম্রদের সমাজের নাম —- ক্রামা
ম্র মেয়েরা যে পোশাক পরে তার নাম —- ওয়াংলাই
ম্রদের বসবাস — বান্দরবান এর রুমা, থাঞ্চি , লামা ও আলিকদম উপজেলা তে /
——-৮.ত্রিপুরা——–
ত্রিপুরাদের বসবাস ——রাঙামাটি , খাগড়াছড়ি , বান্দারবান, সিলেট , কুমিল্লা , চট্রগ্রাম জেলা তে /
ত্রিপুরার দলের নাম — দফা ( মোট ৩৬ টি দফা আছে )
ত্রিপুরা ৩৬ টি দফা এর — বাংলাদেশ এ ১৬ + ত্রিপুরা তে ২০ = ৩৬ টি
কির পুজা করে কারা ? — ত্রিপুরা
ত্রিপুরার নারীদের পোশাক —- নারীদের পোশাকের নীচের অংশকে রিনাই ও উপরের অংশকে রিসা বলা হয়
ত্রিপুরার নারীরা —- নাতং নামে দুল পরে
বাংলা বছরের শেষ ২ দিন ও নববসের ১ন দিনে ত্রিপুরার উৎসব — বৈসু
আনন্দ উৎসবে কুচিবালা পরে — ত্রিপুরা
গরুয়া নিত্য —– বৈসু উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ
ত্রিপুরার শিশুদের খেলে — খিলা ( গিলা ) বা সুকুই নামক বীচি দিয়ে– সেই খেলার নাম সুকুই থুন্মুং
======৯.ওরাও =======

ওরাও দের বসবাস — দিনাজপুর , রাংপুর , রাজশাহী
ওরাও দের ভাষা —- কুরুখ
ওরাওদের গ্রাম প্প্রধান এর নাম — মাহাত
ওরাও দের সেরা দেবতা — ধরমেস বা ধরমি
অরাওদের প্রধান উৎসব —- ফাল্গুন মাসের শেষ তারিখে উৎযাপন হয়
৩ টি দল আছে —- হাত সাঙ্গিয়া , ওপার সাঙ্গিয়া , কাত্রিও
এছাড়াও একনজরে কিছু তথ্য
.
১. পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি কবে হয়েছিল
= ২ ডিসেম্বর , ১৯৯৭ । এতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং শান্তি বাহিনীর পক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতা সন্তু লারমা।
২. মুসলমান উপজাতি
=পাঙন ও লাউয়া
৩. মাতৃতান্ত্রিক উপজাতি
=গারো, খাসিয়া ( এদুটো বাদে সবগুলো পিতৃতান্ত্রিক )
৪. যে উপজাতির মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ, বহু বিবাহ ও বিধবা বিবাহের প্রচলন রয়েছে
= হাজং
৫. উপজাতীয় সাংস্কৃতিক একাডেমি
– বিরিশিরি, নেত্রকোণা (প্রথম প্রতিষ্ঠিত; ১৯৭৭ সালে)
৬. ট্রাইবাল কালচারাল ইন্সটিটিউট
– রাঙামাটি
৭. ট্রাইবাল কালচার একাডেমি
– দিনাজপুর
৮. পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিদের বর্ষবরণকে সামগ্রিকভাবে বলা হয়- বৈসাবি
৯. ত্রিপুরাদের কাছে বর্ষবরণ–বৈসু
১০. মারমাদের কাছে বর্ষবরণ–সাংগ্রাইং
১১. চাকমাদের কাছে বর্ষবরণ—বিঝু নামে পরিচিত ।

১২. একমাত্র খেতাবপ্রাপ্ত আদিবাসী/উপজাতি মুক্তিযোদ্ধা- ইউ কে চিং (বীর বিক্রম)
১৩. ইউ কে চিং ছিলেন—মারমা উপজাতি ।
১৪. শান্তিবাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা- মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা
১৫. শান্তিবাহিনীর বর্তমান চেয়ারম্যান- জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারাম (সন্তু লারমা)
১৬. জনসংখ্যায় সবচেয়ে বেশি – চাকমা ।
১৭. ‘চাকমা’ শব্দের অর্থ—মানুষ ।
১৮. চাকমা –চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান (চট্টগ্রামের খাবার)
১৮. চাকমা বিদ্রোহের নায়ক- জুম্মা খান (কার্পাস বিদ্রোহ) (১৭৭৬-৮৭)
২০. চাকমাদের কাছে বর্ষবরণ—বিঝু নামে পরিচিত ।
২১. জনসংখ্যায় দ্বিতীয়- সাঁওতাল
২২. সাঁওতাল বাস করে–রাজশাহী, রংপুর, বগুড়া ও দিনাজপুর
২৩. সাঁওতাল বিদ্রোহের নায়ক- ২ ভাই কানু আর সিদু (১৮৫৫-৫৬)
২৪. সবচেয়ে বেশি উপজাতি বাস করে–পার্বত্য চট্টগ্রামে ।
২৫.. পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি বাস করে- ১৩টি
২৬ পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রাচীনতম অধিবাসী- মুরং বা ম্রো
২৭. রাখাইনরা এসেছে- মায়ানমার থেকে

বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ -গোষ্ঠীদের আবাস
========================
২৮. ত্রিপুরা বা টিপরা বাস করে–খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি (খাবার)
২৯. লুসাই–খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি (খাবার)
৩০. মগ–খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, বান্দরবান ও পটুয়াখালী (মগরা খাবার পটু)
৩১. মারমা–বান্দরবান, কক্সবাজার ও পটুয়াখালী (মারমা বান্দর কক্স পটু)
৩২. রাখাইন — কক্সবাজার ও পটুয়াখালী (রাখাইন কক্স পটু)
৩৩. রাখাইনরা বেশি বাস করে–পটুয়াখালীতে ।
৩৪. খুমী–বান্দরবানের লামা, রুমা ও থানচি থানায়
৩৫. পাংখো—বান্দরবান
৩৬. মুরং/ম্রো—বান্দরবান
37. বনজোগী–বান্দরবানের গহীন অরণ্যে
38. চক–বান্দরবানের লামা থানায়
39. তঞ্চংগা—রাঙামাটি
40. কুকি—রাঙামাটি
41. খ্যাং–রাঙামাটির কাপ্তাই ও রাজস্থালী
42. মণিপুরীরা বাস করে- সিলেটে
43. মণিপুরী নৃত্য- সিলেটের
44. গারো জাতির লোকদের প্রধান ধমীর্য় ও সামাজিক উৎসব—ওয়ানগালা ।
45. গারো–ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা , শেরপুর ও টাঙ্গাইল (মনেশেটা)
46. হাজং–ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা , শেরপুর ও টাঙ্গাইল (মনেশেটা)
47. হদি–নেত্রকোনা জেলার শ্রীবর্দি ও বারহাট্টায়
48. হাদুই–নেত্রকোনা জেলার শ্রীবর্দি ও বিরিশিরি
49. রাজবংশী—রংপুর

50. ওঁরাও–বগুড়া ও রংপুর
51. মণিপুরী–সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ।
৫২. খাসিয়া–সিলেটের জৈয়ন্তিকা পাহাড়ে ।
৫৩. পাত্র –সিলেট (মণিপুরী খুঁজে সিলেটর খাসিয়া পাত্র)
৫৪. বাওয়ালী—সুন্দরবন
৫৫. মৌয়ালী –সুন্দরবন
৫৬. চাকমা ভাষায় লিখিত প্রথম উপন্যাসের নাম
= ফেবো

No comments