আশাপূর্ণা দেবীর সাহিত্যকর্ম, গ্রন্থপঞ্জী ও পুরস্কার
♥¤ সাহিত্যজগতে আত্মপ্রকাশ :-
লেখিকা আশাপূর্ণা দেবী "শিশুসাথী" পত্রিকায় "বাইরের ডাক" নামক কবিতার মধ্য দিয়ে সাহিত্যজগতে আত্মপ্রকাশ করেন।
♠¤ ত্রয়ী (ট্রিলজি) উপন্যাস :-
লেখিকা আশাপূর্ণা দেবীর বিখ্যাত ত্রয়ী (ট্রিলজি) উপন্যাসগুলি হল --- "প্রথম প্রতিশ্রুতি" (১৯৬৪), "সুবর্ণলতা" (১৯৬৬) ও "বকুলকথা" (১৯৭৩)।
♦¤ পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অন্তর্ভুক্ত পাঠ্য :-
১) "জ্ঞানচক্ষু" :- আশাপূর্ণা দেবী রচিত "জ্ঞানচক্ষু" গল্পটি দশম শ্রেণীর "সাহিত্য সঞ্চয়ন" বইয়ের অন্তর্ভুক্ত। ছোটদের গল্প-সংকলন "কুমকুম" থেকে "জ্ঞানচক্ষু" গল্পটি গৃহীত হয়েছে।
♣¤ সাহিত্যকর্ম ও সাহিত্যচর্চা :-
লেখিকা আশাপূর্ণা দেবীর বাংলা ছাড়া দ্বিতীয় কোনও ভাষায় জ্ঞান ছিল না। বঞ্চিত হয়েছিলেন প্রথাগত শিক্ষালাভেও। কিন্তু গভীর অন্তর্দৃষ্টি ও পর্যবেক্ষণশক্তি তাঁকে দান করে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখিকার আসন। আশাপূর্ণা দেবীর সাহিত্যচর্চার সূত্রপাত ঘটে ১৯২২ খ্রিস্টাব্দ থেকে। মাত্র সাড়ে তেরো কিংবা চোদ্দ বছর বয়সে তিনি "শিশুসাথী" পত্রিকায় গোপনে "বাইরের ডাক" নামে একটি কবিতা পাঠান, তা প্রকাশিত হবার পরই লেখিকা প্রতিভার বিচ্ছুরণ হয়। প্রথম গল্প লেখেন "পাশাপাশি" নামে। এরপর থেকে আর তিনি পিছন ফিরে তাকানোর সময় পাননি। ১৩৩০ বঙ্গাব্দের পৌষ সংখ্যায় "খোকাখুকু" পত্রিকায় "স্নেহ" নামে একটি কবিতা লিখে তিনি প্রথম পুরস্কার লাভ করেন। তাঁর প্রথম প্রকাশিত ছোটগল্প "পাশাপাশি" এবং প্রথম উল্লেখযোগ্য ছোটগল্প "পত্নী ও প্রেয়সী" ১৩৪৩ বঙ্গাব্দে শারদীয়া "আনন্দবাজার" পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তাঁর শ্রেষ্ঠ গল্প "ছিন্নমস্তা" ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে (১৩৫৬ বঙ্গাব্দ) শারদীয়া "আনন্দবাজার" পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। পরবর্তীকালে "শ্রেষ্ঠ গল্প" (১৯৫৪), "গল্পসমগ্র" (১৯৯১), "নায়িকা পঞ্চবিংশতি" (২০০০) প্রভৃতি ছোটগল্প-সংকলন গ্রন্থে এই গল্পটি স্থান পায়। তাঁর প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস "প্রেম ও প্রয়োজন" (১৯৪৪) এবং প্রথম উল্লেখযোগ্য উপন্যাস "মিত্তির বাড়ী" (১৯৪৭)। তাঁর ছোটদের জন্য লেখা প্রথম প্রকাশিত ছোটগল্প-সংকলন গ্রন্থ "ছোটো ঠাকুরদার কাশীযাত্রা" (১৯৩৮) এবং বড়দের জন্য লেখা প্রথম প্রকাশিত ছোটগল্প-সংকলন গ্রন্থ "জল আর আগুন" (১৯৪০)। শেষপর্যন্ত তিনি গল্পকাহিনী রচনাতেই মনোনিবেশ করে বসেন। গল্প ছাড়াও তিনি লিখতেন উপন্যাস, যা থেকে তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। তাঁর "প্রথম প্রতিশ্রুতি" (১৯৬৪), "সুবর্ণলতা" (১৯৬৬) ও "বকুলকথা" (১৯৭৩) উপন্যাসত্রয়ী (ট্রিলজি) বিশ শতকের বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ ত্রয়ী রচনাগুলির অন্যতম বলে বিবেচিত হয়। তাঁর অনেক বই থেকে একাধিক কাহিনী অবলম্বনে পরে বিভিন্ন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। তাঁর প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে ১৭৬টি উপন্যাস, ৩০টি গল্পগ্রন্থ ও ছোটগল্প-সংকলন গ্রন্থ, ১৫০০টি ছোটগল্প, ৪৭টি ছোটদের গ্রন্থ (বই), অন্যান্য সংকলন গ্রন্থ ২৫টি এবং বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় অনূদিত গ্রন্থ ৬৩টি। এছাড়াও তিনি লিখেছেন কবিতা, রম্যরচনা, স্মৃতিকথামূলক রচনা সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রবন্ধ এবং অন্যান্য নানান বিষয়ে আরও অজস্র গ্রন্থ। এইভাবে তিনি তাঁর বিভিন্ন রচনার মধ্যে নারী সমাজকে তো জাগ্রত করেছেনই, সঙ্গে সঙ্গে বাল্য থেকে শুরু করে বার্ধক্য বয়সের মানুষকেও তিনি উদবুদ্ধ করে তুলেছিলেন। তেরো-চোদ্দ বছর বয়স থেকে লেখালেখি করলেও তাঁর আটত্রিশ বছর বয়সে তিনি এক পুরস্কার বিতরনী সভায় যোগ দিয়ে সেখান থেকেই গৃহ ছেড়ে বাইরের জগতে আসেন। এরপর বিভিন্ন সাহিত্যিকদের, অর্থাৎ তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখের সহিত পরিচিত হন।
♥¤ গ্রন্থপঞ্জী :-
♠¤ উপন্যাস :-
১) "প্রেম ও প্রয়োজন" (১৯৪৪)
★তথ্য :- আশাপূর্ণা দেবীর প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস "প্রেম ও প্রয়োজন"। এটি ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়।
২) "অনির্বাণ" (১৯৪৫)
৩) "মিত্তির বাড়ী" (১৯৪৭)
★তথ্য :- আশাপূর্ণা দেবীর প্রথম উল্লেখযোগ্য উপন্যাস "মিত্তির বাড়ী"। এটি ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়।
৪) "বলয়গ্রাস" (১৯৫২)
৫) "অগ্নিপরীক্ষা" (১৯৫২)
৬) "কল্যাণী" (১৯৫৪)
৭) "নির্জন পৃথিবী" (১৯৫৬)
৮) "শশীবাবুর সংসার" (১৯৫৬)
৯) "অতিক্রান্ত" (১৯৫৭)
১০) "উন্মোচন" (১৯৫৭)
১১) "জনম জনম কি সাথী" (১৯৫৮)
১২) "নেপথ্য নায়িকা" (১৯৫৮)
১৩) "আংশিক" (১৯৬০)
১৪) "ছাড়পত্র" (১৯৬০)
১৫) "নবজন্ম" (১৯৬০)
১৬) "যোগবিয়োগ" (১৯৬০)
১৭) "সমুদ্র নীল আকাশ নীল" (১৯৬০)
১৮) "উত্তরলিপি" (১৯৬০)
১৯) "মুখর রাত্রি" (১৯৬১)
২০) "দিগন্তের রঙ" (১৯৬২)
২১) "নদী দিক হারা" (১৯৬২)
২২) "উত্তরণ" (১৯৬৩/১৩৭০)
২৩) "বহিরঙ্গ" (১৯৬৩)
২৪) "প্রেম যুগে যুগে" (১৯৬৪)
২৫) "লঘু ত্রিপদী" (১৩৭০ বঙ্গাব্দ)
২৬) "চাঁদের জানালা"
২৭) "জীবনস্বাদ" (১৩৭০ বঙ্গাব্দ)
২৮) "প্রথম প্রতিশ্রুতি" (১৯৬৪)
২৯) "শুক্তি সাগর" (১৩৭১ বঙ্গাব্দ)
৩০) "সুবর্ণলতা" (১৯৬৬)
৩১) "লোহার গরাদের ছায়া"
৩২) "যুগান্তের যবনিকা পারে"
৩৩) "বকুলকথা" (১৯৭৩)
৩৪) "গাছের পাতা নীল"
৩৫) "দোলনা"
৩৬) "নীটফল" (১৯৮৮)
৩৭) "যার বদলে যা" (১৯৮৯)
৩৮) "চিত্রকল্প" (১৯৮৯)
৩৯) "রাতের পাখি"
৪০) "সেই রাত্রি এই দিন"
৪১) "সময়ের স্তর"
৪২) "দর্শকের ভূমিকায়"
৪৩) "এই তো সেদিন"
৪৪) "সিঁড়ি ভাঙা অঙ্ক"
৪৫) "যে যার দর্পণে"
৪৬) "সকাল সন্ধ্যা"
৪৭) "শেষ রায়"
৪৮) "নকশা কাটা ঘর"
৪৯) "অচল পয়সা"
৫০) "অনমনীয়"
৫১) "অবিনশ্বর"
৫২) "অন্য মাটি অন্য রঙ"
♦¤ গল্পগ্রন্থ ও ছোটগল্প-সংকলন গ্রন্থ :-
১) "ছোটো ঠাকুরদার কাশীযাত্রা" (১৯৩৮)
★তথ্য :- আশাপূর্ণা দেবীর ছোটদের জন্য লেখা প্রথম প্রকাশিত ছোটগল্প-সংকলন গ্রন্থ "ছোটো ঠাকুরদার কাশীযাত্রা"। এই গ্রন্থটি ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়।
২) "জল আর আগুন" (১৯৪০)
★তথ্য :- আশাপূর্ণা দেবীর বড়দের জন্য লেখা প্রথম প্রকাশিত ছোটগল্প-সংকলন গ্রন্থ "জল আর আগুন"। এই গ্রন্থটি ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়।
৩) "হাফ হলিডে" (১৯৪১)
৪) "রঙিন মলাট" (১৯৪১)
৫) "নষ্টকোষ্ঠী"
৬) "ভুল ট্রেনে উঠে"
৭) "মজারু মামা"
৮) "কখনো কাছে কখনো দূরে"
৯) "কুমকুম"
১০) "শ্রেষ্ঠ গল্প" (১৯৫৪)
১১) "কিশোর সাহিত্য সমগ্র"
১২) "অবচেতন" (১৯৬০)
১৩) "হাসির গল্প" (১৯৬৭)
১৪) "মানুষের মত মানুষ" (১৯৮৬)
১৫) "গল্পসমগ্র" (১৯৯১)
১৬) "কড়া পাকের পাকচক্র" (১৯৯৭)
১৭) "প্ল্যানচেট" (১৯৯৯)
১৮) "নায়িকা পঞ্চবিংশতি" (২০০০)
♣¤ উল্লেখযোগ্য ছোটগল্প :-
১) "পাশাপাশি"
★তথ্য :- আশাপূর্ণা দেবীর প্রথম প্রকাশিত ছোটগল্প "পাশাপাশি"।
২) "পত্নী ও প্রেয়সী"
★তথ্য :- আশাপূর্ণা দেবীর প্রথম উল্লেখযোগ্য ছোটগল্প "পত্নী ও প্রেয়সী"। এই ছোটগল্পটি ১৩৪৩ বঙ্গাব্দে শারদীয়া "আনন্দবাজার" পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
৩) "অভিনেত্রী"
৪) "অঙ্গার"
৫) "ফাটল"
৬) "শেষ"
৭) "ছিন্নমস্তা"
★তথ্য :- আশাপূর্ণা দেবীর শ্রেষ্ঠ গল্প "ছিন্নমস্তা"। এই গল্পটি ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে (১৩৫৬ বঙ্গাব্দ) শারদীয়া "আনন্দবাজার" পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। পরবর্তীকালে "শ্রেষ্ঠ গল্প" (১৯৫৪), "গল্পসমগ্র" (১৯৯১), "নায়িকা পঞ্চবিংশতি" (২০০০) প্রভৃতি ছোটগল্প-সংকলন গ্রন্থে এই গল্পটি স্থান পায়।
৮) "কার্বন কপি"
৯) "ভয়"
১০) "পরাজিত হৃদয়"
১১) "বঞ্চক"
১২) "ঘূর্ণয়মান পৃথিবী"
১৩) "আয়োজন"
১৪) "একটি মৃত্যু ও আরেকটি"
১৫) "স্বর্গের টিকিট"
১৬) "বে-আব্রু"
১৭) "ছুটি নাকচ"
১৮) "বড়ো রাস্তা হারিয়ে"
১৯) "পাতাচাঁপা"
২০) "সর্ষে ও ভূত"
২১) "ডেইলি প্যাসেঞ্জার"
২২) "কামধেনু"
২৩) "শুনে পুন্যবান"
২৪) "ক্যাকটাস"
২৫) "জ্ঞানচক্ষু"
♥¤ রহস্য কাহিনী ও অন্যান্য গ্রন্থাবলী :-
১) "নিলয়-নিবাস"
২) "দিব্যহাসিনীর দিনলিপি"
৩) "দৃশ্য থেকে দৃশ্যান্তরে"
৪) "লীলা চিরন্তন"
৫) "চাবি বন্ধ সিন্দুক"
৬) "অলয় আদিত্যের ইচ্ছাপত্র রহস্য"
৭) "গজ উকিলের হত্যা রহস্য"
৮) "ভূতুরে কুকুর"
৯) "রাজকুমারের পোশাকে"
১০) "মনের মুখ"
১১) "মধ্যে সমুদ্র"
১২) "যাচাই"
১৩) "নিমিত্তমাত্র"
১৪) "ষড়যন্ত্রের নায়ক"
১৫) "চশমা পাল্টে যায়
১৬) "বিশ্বাস-অবিশ্বাস"
১৭) "কাঁটাপুকুর লেনের কমলা"
১৮) "বালুচরী"
১৯) "শৃঙ্খলিতা"
২০) "সানগ্লাস"
২১) "সুখের চাবি"
২২) "সুয়োরানীর সাধ"
২৩) "সুরভি স্বপ্ন"
২৪) "বালির নিচে ঢেউ"
২৫) "প্রথম লগ্ন"
২৬) "তিনছন্দ"
২৭) "আলোর স্বাক্ষর"
♠¤ উল্লেখযোগ্য কবিতা :-
১) "বাইরের ডাক"
★তথ্য :- আশাপূর্ণা দেবীর "বাইরের ডাক" কবিতাটি "শিশুসাথী" পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এই কবিতাটির মধ্য দিয়ে তিনি সাহিত্যজগতে আত্মপ্রকাশ করেন।
২) "স্নেহ"
★তথ্য :- আশাপূর্ণা দেবীর "স্নেহ" কবিতাটি ১৩৩০ বঙ্গাব্দের পৌষ সংখ্যায় "খোকাখুকু" পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এই কবিতাটি লিখে তিনি প্রথম পুরস্কার লাভ করেন।
৩) "তোমাকে"
৪) "আমরা যখন ছোট্ট ছিলাম"
৫) "এখন যারা ছোট্ট আছে?"
৬) "ডাক"
৭) "ময়নার বায়না"
৮) "বন্দিয়া মা দুর্গা দেবী, বন্দি সরস্বতী"
৯) "চাঁদের কণা কুড়িয়ে"
১০) "এ কী লাইন এলো দেশে দাদা"
♦¤ স্মৃতিকথামূলক রচনা :-
১) "আর এক আশাপূর্ণা"
২) "আমার সাহিত্য চিন্তা" (১৩৮৫ বঙ্গাব্দ)
৩) "আমার ছেলেবেলা" (১৩৯২ বঙ্গাব্দ)
৪) "নেশা নয়, পেশা নয়, লেখাই যাঁর জীবন" (১৩৯৭ বঙ্গাব্দ)
৫) "ক্ষতির হিসাব" (১৯৯২)
♣¤ উপন্যাস সাহিত্যে গুরুত্ব :-
বাংলা উপন্যাস সাহিত্যে লেখিকা আশাপূর্ণা দেবীর গুরুত্ব অপরিসীম।
১) অধ্যাপক শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, --- "কোনো কোনো উপন্যাসে গার্হস্থ্য জীবনের সঙ্গে বহির্জগতের আকর্ষণ কিছুটা বিসদৃশভাবে মিশিয়াছে; কোথাও বা রোমান্সের সুলভ বর্ণপ্রক্ষেপ এই ধূসর সমস্যাক্ষুব্ধ জীবনে কিছুটা বৈচিত্র্য আনিয়াছে। কিন্তু লেখিকার জীবন নিরীক্ষার সত্যসার এই গৃহজীবনের মধ্যেই নিহিত আছে।"
২) যৌথ পরিবার এবং ভেঙে যাওয়া পরিবার জীবনের সমস্যার কথা আশাপূর্ণা দেবী তাঁর উপন্যাস সাহিত্যে নিপুণ হস্তে ফুটিয়ে তুলেছেন।
৩) কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো সাধারণ কথাকে তিনি অসাধারণ করে তুলেছেন।
৪) আশাপূর্ণা দেবী তাঁর উপন্যাসে নতুন কালের পটভূমিকায় একান্নবর্তী পরিবারকে উপস্থাপিত করেছেন।
৫) উপন্যাস সাহিত্যে হাস্য ও করুণ রস সৃষ্টিতে লেখিকা আশাপূর্ণা দেবী যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।
♥¤ পুরস্কার ও সম্মাননা :-
১) ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে : তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে "লিজা পুরস্কার" লাভ করেন।
২) ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে : তিনি "ভুবনমোহিনী স্বর্ণপদক"-এ ভূষিত হন।
৩) ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে : তিনি "প্রথম প্রতিশ্রুতি" (১৯৬৪) উপন্যাসের জন্য "রবীন্দ্র পুরস্কার" পান।
৪) ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে : তিনি "প্রথম প্রতিশ্রুতি" (১৯৬৪) উপন্যাসের জন্য "জ্ঞানপীঠ পুরস্কার" লাভ করেন।
৫) ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে : তিনি "পদ্মশ্রী পুরস্কার"-এ ভূষিত হন।
৬) ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে : তিনি "ভুবনেশ্বরী পদক" পান।
৭) ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে : তিনি জব্বলপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাম্মানিক "ডক্টরেট"-এ ভূষিত হন।
৮) ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে : তিনি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাম্মানিক "ডক্টরেট" লাভ করেন।
৯) ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে : তিনি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাম্মানিক "ডক্টরেট" পান।
১০) ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে : তিনি "বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ" থেকে "হরনাথ ঘোষ পদক"-এ ভূষিত হন।
১১) ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে : তিনি "শরৎস্মৃতি পুরস্কার" লাভ করেন।
১২) ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে : তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে "দেশিকোত্তম" সম্মান পান।
১৩) ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে : তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাম্মানিক "ডক্টরেট" লাভ করেন।
১৪) ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে : তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে "জগত্তারিণী স্বর্ণপদক" পান।
১৫) ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে : তিনি "সাহিত্য আকাদেমি"-র ফেলোশিপে ভূষিত হন।
No comments