বাংলা সাহিত্যে ব্রাহ্মণ সেবধি পত্রিকার গুরুত্ব
♥¤ আবির্ভাব :-
১৮২১ খ্রিস্টাব্দের ১৪ই জুলাই শ্রীরামপুরের এক পাদ্রী "সমাচার দর্পণ" পত্রিকায় হিন্দুধর্ম ও দর্শনকে আক্রমণ করে প্রবন্ধ লিখলে রাজা রামমোহন রায় তার প্রত্যুত্তর পত্র "শ্রী শিবপ্রসাদ শর্মা" ছদ্মনামে "সমাচার দর্পণ" পত্রিকায় পাঠালে সেই পত্র "সমাচার দর্পণ" পত্রিকার সম্পাদক প্রকাশ করেননি। তখন রাজা রামমোহন রায় তার জবাব দিতে ১৮২১ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে "ব্রাহ্মণ সেবধি" পত্রিকা প্রকাশ করেন। রাজা রামমোহন রায় এখানে "শিবপ্রসাদ শর্মা" ছদ্মনাম গ্রহণ করেছেন।
১৮২১ খ্রিস্টাব্দের ১৪ই জুলাই শ্রীরামপুরের এক পাদ্রী "সমাচার দর্পণ" পত্রিকায় হিন্দুধর্ম ও দর্শনকে আক্রমণ করে প্রবন্ধ লিখলে রাজা রামমোহন রায় তার প্রত্যুত্তর পত্র "শ্রী শিবপ্রসাদ শর্মা" ছদ্মনামে "সমাচার দর্পণ" পত্রিকায় পাঠালে সেই পত্র "সমাচার দর্পণ" পত্রিকার সম্পাদক প্রকাশ করেননি। তখন রাজা রামমোহন রায় তার জবাব দিতে ১৮২১ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে "ব্রাহ্মণ সেবধি" পত্রিকা প্রকাশ করেন। রাজা রামমোহন রায় এখানে "শিবপ্রসাদ শর্মা" ছদ্মনাম গ্রহণ করেছেন।
♠¤ পরিচিতি :-
মিশনারী উদ্যোগের বিপ্রতীপে ১৮২১ খ্রিস্টাব্দের ১৪ই জুলাই রাজা রামমোহন রায় প্রকাশ করেন "ব্রাহ্মন সেবধি" পত্রিকা এবং কিছুটা পরে "সম্বাদ কৌমুদী" পত্রিকা। এই পত্রিকায় রাজা রামমোহন রায় সহমর প্রথার বিরুদ্ধে ও অন্য সামাজিক আন্দোলনের স্বপক্ষে লেখা হত। এর বিরোধিতা করে ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ করলেন "সমাচার চন্দ্রিকা"। ত্রিতত্ত্ববাদী খ্রিস্টধর্মের বিরুদ্ধাচরণ এবং হিন্দুধর্মের বহুদেববাদ, ধর্ম ও দর্শনের নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা "ব্রাহ্মণ সেবধি" পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার ফলে এই পত্রিকাটির খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। ''ব্রাহ্মণ সেবধি" পত্রিকাটি অল্পদিন স্থায়ী হয়েছিল।
মিশনারী উদ্যোগের বিপ্রতীপে ১৮২১ খ্রিস্টাব্দের ১৪ই জুলাই রাজা রামমোহন রায় প্রকাশ করেন "ব্রাহ্মন সেবধি" পত্রিকা এবং কিছুটা পরে "সম্বাদ কৌমুদী" পত্রিকা। এই পত্রিকায় রাজা রামমোহন রায় সহমর প্রথার বিরুদ্ধে ও অন্য সামাজিক আন্দোলনের স্বপক্ষে লেখা হত। এর বিরোধিতা করে ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ করলেন "সমাচার চন্দ্রিকা"। ত্রিতত্ত্ববাদী খ্রিস্টধর্মের বিরুদ্ধাচরণ এবং হিন্দুধর্মের বহুদেববাদ, ধর্ম ও দর্শনের নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা "ব্রাহ্মণ সেবধি" পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার ফলে এই পত্রিকাটির খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। ''ব্রাহ্মণ সেবধি" পত্রিকাটি অল্পদিন স্থায়ী হয়েছিল।
♦¤ সাহিত্যে অবদান :-
ত্রিতত্ত্ববাদী খ্রিস্টধর্মের বিরুদ্ধাচরণ এবং হিন্দুধর্মের বহুদেববাদ, ধর্ম ও দর্শনের নানান বিষয় নিয়ে নানান প্রবন্ধ রাজা রামমোহন রায় এই পত্রিকায় লিখেছেন। যুক্তিবাদী রাজা রামমোহন রায় এই পত্রিকায় সমস্তরকম অলৌকিকতার বিরুদ্ধাচারণ করেছেন।
ত্রিতত্ত্ববাদী খ্রিস্টধর্মের বিরুদ্ধাচরণ এবং হিন্দুধর্মের বহুদেববাদ, ধর্ম ও দর্শনের নানান বিষয় নিয়ে নানান প্রবন্ধ রাজা রামমোহন রায় এই পত্রিকায় লিখেছেন। যুক্তিবাদী রাজা রামমোহন রায় এই পত্রিকায় সমস্তরকম অলৌকিকতার বিরুদ্ধাচারণ করেছেন।
♣¤ গদ্যভাষার নমুনা :-
"ব্রাহ্মণ সেবধি" পত্রিকায় প্রকাশিত গদ্যের সরস বাচনভঙ্গি পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তবে অনেক গদ্যের আড়ষ্টতাও দৃষ্টি এড়ায় না।
পত্রিকার দ্বিতীয় সংখ্যায় লেখা রাজা রামমোহন রায়ের প্রবন্ধের কিছু অংশ এখানে তুলে ধরা হল, --- "অতএব মিশনারি মহাশয় দিগ্যে বিনয়পূর্বক জিজ্ঞাসা করি যে তাহারা রূপ বিশিষ্ট যিশু খ্রিস্টকে ও কপোতরূপ বিশিষ্ট হোলি গোষ্টকে সাক্ষাৎ ঈশ্বর কহেন কিনা....।"
"ব্রাহ্মণ সেবধি" পত্রিকায় প্রকাশিত গদ্যের সরস বাচনভঙ্গি পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তবে অনেক গদ্যের আড়ষ্টতাও দৃষ্টি এড়ায় না।
পত্রিকার দ্বিতীয় সংখ্যায় লেখা রাজা রামমোহন রায়ের প্রবন্ধের কিছু অংশ এখানে তুলে ধরা হল, --- "অতএব মিশনারি মহাশয় দিগ্যে বিনয়পূর্বক জিজ্ঞাসা করি যে তাহারা রূপ বিশিষ্ট যিশু খ্রিস্টকে ও কপোতরূপ বিশিষ্ট হোলি গোষ্টকে সাক্ষাৎ ঈশ্বর কহেন কিনা....।"
🏠¤ ব্রাহ্মণ সেবধি ব্রাহ্মণ ও মিসিনরি সম্বাদ :-
তৎকালীন খ্রিস্টান মিশনারিদের হিন্দু ধর্মের উপর আক্রমণাত্মক লেখালেখির সূত্রে এই পত্রিকার সূচনা হয়েছিল। ১৮২১ খ্রিস্টাব্দের ১৪ই জুলাই "সমাচার দর্পণ" পত্রিকায় একটি পত্র প্রকাশিত হয়। এই পত্রের শিরোনাম ছিল "কোন বিজ্ঞ ব্যক্তি দূর দেশ হইতে কয়েক প্রশ্ন সম্বলিত"। রাজা রামমোহন রায় এই পত্র পাঠ করে অনুমান করেন যে, এই পত্রটির দ্বারা মিশনারিরা হিন্দু ধর্মের উপর আক্রমণ করেছে। এর প্রতিবাদস্বরূপ রাজা রামমোহন রায় তাঁর গুরু শিবপ্রসাদ শর্মার নামে পত্রে প্রকাশিত প্রশ্নের জবাব "সমাচার দর্পণ'' পত্রিকায় পাঠান। ১৮২১ খ্রিস্টাব্দের ১লা সেপ্টেম্বর "সমাচার দর্পণ'' সম্পাদক মন্তব্য লেখেন। মন্তব্যটি হল --- "অজিজ্ঞাসিতাভিধান দোষ বহিষ্কৃত করিয়া কেবল সাময়িক সাহিত্য ষড়দর্শনের দোষোদ্ধার পত্র ছাপাইতে অনুমতি দেন তবে ছাপাইবার বাধা নাই অন্যথা সর্ব্ব সমেত অন্যত্র ছাপাইতে বাসনা করেন তাহাতেও হানি নাই।"
এরপর রাজা রামমোহন রায় শিবপ্রসাদ শর্মার নামে একটি পত্রিকা প্রকাশের উদ্যোগ নেন। এর নাম ছিল --- ''Brahmunical Magazine. The Missionary and the Brahmun No. 1, 1821" ["ব্রাহ্মণ সেবধি ব্রাহ্মণ ও মিসিনরি সম্বাদ নং. ১, ১৮২১"]। এই পত্রিকাটির প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল ১৮২১ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে। এরপর এই বছরে এর আরো দুটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল। পত্রিকাটির এক পৃষ্ঠায় বাংলা এবং অপর পৃষ্ঠায় এর ইংরেজি অনুবাদ থাকত। পত্রিকটি কত মাস প্রকাশিত হয়েছিল, সে বিষয়ে জানা যায়নি।
🔰¤ তথ্যঋণ :-
১) "আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস" (দ্বিতীয় খণ্ড : ১৮০০-১৯৭২; আধুনিক যুগ; পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১৭৭-১৭৮) --- অধ্যাপক শ্রীতপন কুমার চট্টোপাধ্যায়।
২) "বাংলা সাময়িক সাহিত্য" (১৮১৮-১৮৬৭) [১৯৬৪] --- শ্রীব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। "বিশ্বভারতী" প্রকাশনী।
১) "আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস" (দ্বিতীয় খণ্ড : ১৮০০-১৯৭২; আধুনিক যুগ; পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১৭৭-১৭৮) --- অধ্যাপক শ্রীতপন কুমার চট্টোপাধ্যায়।
২) "বাংলা সাময়িক সাহিত্য" (১৮১৮-১৮৬৭) [১৯৬৪] --- শ্রীব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। "বিশ্বভারতী" প্রকাশনী।
No comments