প্রমথনাথ বিশী - একটি বিরল আলোচনা
••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
♦জন্ম : ১৯০১ সালের ১১ জুন বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার নাটোরের অন্তর্গত জোয়াড়ি গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
♦মৃত্যু : ১৯৮৫ সালের ১০ মে কলকাতার রামকৃষ্ণ মিশন হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
♦পেশা : কবি, ছোট গল্পকার, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, প্রকাশক।
♦লেখক-পরিচিতি : তাঁর পিতার নাম নলিনীনাথ বিশী এবং মাতার নাম সরোজবাসিনী দেবী। তাঁর পিতা ছিলেন বৃহত্তর রাজশাহী জেলার মধ্যে প্রথম গ্র্যাজুয়েট এবং প্রভাবশালী জমিদার কেশবনাথ বিশীর দত্তক পুত্র। ১৯১০ খ্রিস্টাব্দের মাত্র ৯ বছর বয়সে তিনি শান্তিনিকেতনে আসেন। ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাইভেটে "প্রবেশিকা পরীক্ষা"য় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আই. এ. পরীক্ষায় পাশ করে রাজশাহী গভর্নমেন্ট কলেজে ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে বি. এ পাশ করেন। ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাইভেটে বাংলায় এম. এ পরীক্ষা দেন এবং প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন। ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে "রামতনু বৃত্তি" নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রকাব্যের ওপর গবেষণা শুরু করেন।
♦কর্মজীবন : ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার রিপন কলেজে বাংলার অধ্যাপক হয়ে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। অধ্যাপনা ছেড়ে তিনি "আনন্দবাজার পত্রিকা"র সহযোগী সম্পাদক হন। ১৯৪৬-৪৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করার পর ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে "আনন্দবাজার পত্রিকা"র কাজ ছেড়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন। ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র অধ্যাপক হন। ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েরই বাংলা বিভাগীয় প্রধান হন। ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে এখান থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৬২-৬৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রাজ্যবিধান পরিষদে কংগ্রেস দলের মনোনীত শিক্ষক সদস্য ছিলেন। ১৯৭২-৭৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি মনোনীত রাজ্যসভার সম্মানীয় সদস্য ছিলেন।
♠সাহিত্যজগতে আত্মপ্রকাশ : ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে মাত্র ৯ বছর বয়সে তিনি বীরভূমের শান্তিনিকেতনের একটি হাতে লেখা পত্রিকায় প্রথম "বসন্ত" নামে একটি কবিতা রচনা করেন। কবিতাটি নীচে দেওয়া হল।
"ওগো ঋতু রাজ
দিয়ে কত সাজ,
সাজাইলে ধরা
কত ফুলে ভরা।
কোকিলের কুহরে
মন মোর হরে,
তুমি যে বসন্ত
গুণে নাই অন্ত।"
♠ছদ্মনাম - তিনি মোট ৯ টি ছদ্মনামে তাঁর সাহিত্য রচনা করতেন। সেগুলি হল :- "প্র. না. বি" , "শ্রীকমলাকান্ত শর্মা" , "হাতুড়ি" , "বিষ্ণু শর্মা" , "অমিত রায়" , "মাধব্য" , "স্কট টমসন" , "জি. বি. এস" , "শ্রীমর্কট"।
♠বিভিন্ন ছদ্মনাম বিভিন্ন ক্ষেত্রে :-
১) ছোটগল্প লেখার ক্ষেত্রে - "প্র. না. বি"।
২) নাটক রচনার ক্ষেত্রে - "জি. বি. এস"।
৩) আন্দবাজার পত্রিকায় লেখালেখির ক্ষেত্রে - "শ্রীকমলাকান্ত শর্মা" ও "মাধব্য"।
৪) শনিবারের চিঠি পত্রিকার ব্যঙ্গ কবিতা রচনার ক্ষেত্রে - স্কট টমসন।
৫) মোহিতলাল মজুমদারের বিরুদ্ধাচরণ করার ক্ষেত্রে - "শ্রীমর্কট"।
♠আত্মস্মৃতি : তিনি একটি আত্মজীবনী মূলক প্রবন্ধ ও সমালোচনা গ্রন্থ রচনা করেন। সেই প্রবন্ধটি হল :- "পুরানো সেই দিনের কথা" (১৩৯১ বঙ্গাব্দ)।
♠ত্রয়ী (ট্রিলজি) উপন্যাস :- অন্যান্য কয়েকজন সাহিত্যিকের মতো তিনিও একটি "ট্রিলজি" বা "ত্রয়ী উপন্যাস" রচনা করেন। সেগুলি হল :- "পদ্মা" (১৯৩৫ / ১৩৪২) , "জোড়াদিঘীর চৌধুরী পরিবার" (১৩৫২) , "কোপাবতী" (১৩৫৩)।
♥সাহিত্যকর্ম : তিনি মোট ২০ টি উপন্যাস, ১৩ টি কাব্যগ্রন্থ, ১০ টি নাটক, ১৫ টি ছোটোগল্প-সংকলন, ১৯ টি প্রবন্ধ ও সমালোচনা গ্রন্থ, ১৩ টি রবীন্দ্র বিষয়ক গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর একটি সম্পূর্ণ তালিকা নীচে সাজিয়ে দেওয়া হল।
♥উপন্যাস :-
১) দেশের শত্রু (১৯২৪ / ১৩৩১)
২) পদ্মা (১৯৩৫ / ১৩৪২)
৩) জোড়াদিঘীর চৌধুরী পরিবার (১৩৫২)
৪) কোপাবতী (১৩৫৩)
৫) নীলমণির স্বর্গ (১৩৬১)
৬) সিন্ধুদেশের প্রহরী (১৩৬২)
৭) অশ্বত্থের অভিশাপ
৮) চলনবিল (১৯৫৭)
৯) মহাতিরাম ফাঁসুড়ে
১০) কেরী সাহেবের মুন্সী (১৯৫৮ / ১৩৬৫)
১১) লালকেল্লা (১৯৬৩ / ১৩৭০)
১২) জোড়াদিঘীর উদয়াস্ত (১৯৬৬)
১৩) বিপুল সুদূর তুমি যে (১৩৭৫)
১৪) মুক্তবেণী (১৯৭১)
১৫) পূর্ণাবতার (১৯৭২)
১৬) শাহীশিরোপা (১৩৭৬)
১৭) হিন্দী উইথআউট টীয়ার্স (১৩৭৮)
১৮) বঙ্গভঙ্গ (১৩৮৩)
১৯) পনেরোই আগস্ট (১৩৮৫)
২০) ধুলো উড়ির কুঠী (১৩৯২)
♥কাব্যগ্রন্থ :-
১) দেওয়ালি / দেয়ালি (১৯২৩ / ১৩৩০)
২) বসন্ত সেনা ও অন্যান্য কবিতা (১৯২৭ / ১৩৩৩)
৩) প্রাচীন আসামী হইতে (১৯৩৪)
৪) বিদ্যাসুন্দর (১৯৩৫)
৫) প্রাচীন গীতিকা হইতে (১৯৩৭)
৬) শকুন্তলা ও অন্যান্য কবিতা (১৯৪৬ / ১৩৫৩)
৭) যুক্তবেণী (১৯৪৮ / ১৩৫৫)
৮) হংসমিথুন (১৯৫১)
৯) উত্তর মেঘ (১৯৫৪)
১০) কিংশুক বহ্নি (১৯৫৯ / ১৩৬৬)
১১) শ্রেষ্ঠ কবিতা (১৯৬১ / ১৩৬৭)
১২) প্রাচীন পারসিক হইতে (১৩৭৫)
১৩) শ্রীমদ্ ভাগবদ্ গীতার অনুবাদ (১৯৭৮)
♥নাটক :-
১) রথযাত্রা (১৩২৯)
২) ঋণং কৃত্বা (১৯৩৫ / ১৩৪২)
৩) ঘৃতং পিবেৎ (সানিভিলা : ১৩৪৩)
৪) ডিনামাইট ও অন্যান্য নাটক (১৩৪৯)
৫) গভর্নমেন্ট ইন্সপেক্টর (১৯৪৪ / ১৩৫১)
৬) মৌচাকে ঢিল (১৯৪৫ / ১৩৫২)
৭) পরিহাস বিজল্পীতম (১৩৫৩)
৮) পারমিট (১৩৬৩)
৯) ভূতপর্ব স্বামী (১৯৫২)
১০) বেনিফিট অব্ ডাউট (১৩৮১)
♥ছোটোগল্প-সংকলন :-
১) শ্রীকান্তের পঞ্চম পর্ব (১৯৩৬)
২) শ্রীকান্তের ষষ্ঠ পর্ব (১৯৪৫)
৩) গল্পের মতো (১৯৪৫)
৪) গালি ও গল্প (১৯৪৫ / ১৩৫২)
৫) ডাকিনী (১৯৪৫ / ১৩৫২)
৬) ব্রহ্মার হাসি (১৯৪৮ / ১৩৫৫)
৭) অশরীরী
৮) ধনেপাতা
৯) চাপাটি ও পদ্ম (১৩৬২)
১০) অলৌকিক (১৯৫৭ / ১৩৬৪)
১১) নীলবর্ণ শৃগাল (১৯৫৭ / ১৩৬৫)
১২) এলার্জি (১৩৬৫)
১৩) অনেক আগে অনেক দূরে
১৪) যা হলে হতে পারত (১৩৬৯)
১৫) সমুচিত শিক্ষা
♣প্রবন্ধ ও সমালোচনা গ্রন্থ :-
১) মাইকেল মধুসূদন, জীবনভাষ্য (১৩৪৮)
২) বাঙালি ও বাংলা সাহিত্য (১৯৪৫)
৩) বাঙালির জীবন সন্ধ্যা
৪) চিত্র-চরিত্র (১৩৫৬)
৫) বাংলার লেখক (১৯৫০ / ১৩৫৭)
৬) জওহরলাল নেহরু-ব্যক্তি ও ব্যক্তিত্ব (১৯৫১)
৭) বিচিত্র উপল (১৯৫১ / ১৩৫৮)
৮) বাংলা সাহিত্যের নরনারী (১৩৬০)
৯) কমলাকান্তের আসর (প্রথম খণ্ড : ১৩৬২)
১০) নানারকম (১৯৫৮)
১১) বিচিত্র সংলাপ (১৩৬৫)
১২) বাংলার কবি (১৩৬৬)
১৩) কমলাকান্তের জল্পনা (১৩৬৯)
১৪) বঙ্কিম সরণী (১৯৬৫ / ১৩৭৩)
১৫) বঙ্কিম সাহিত্য বিচার (১৩৭৭)
১৬) পুরানো সেই দিনের কথা (১৩৯১)
১৭) গান্ধি জীবন ভাষ্য (১৯৭৬)
১৮) বঙ্কিমচন্দ্র ও উত্তরকাল (১৯৭৭)
১৯) শুভাকাঙ্ক্ষী রবীন্দ্রনাথ (১৯৭৯)
♣রবীন্দ্র বিষয়ক গ্রন্থ :-
১) রবীন্দ্র কাব্যপ্রবাহ (১৯৩৯)
২) রবীন্দ্র কাব্য নির্ঝর (১৩৫০)
৩) রবীন্দ্রনাথ ও শান্তিনিকেতন (১৩৫১)
৪) রবীন্দ্র কাব্যপ্রবাহ, প্রথম খণ্ড (১৩৫৫)
৫) রবীন্দ্র কাব্যপ্রবাহ, দ্বিতীয় খণ্ড (১৯৫১)
৬) মহারাষ্ট্র ও রবীন্দ্রনাথ (১৯৬১)
৭) রবীন্দ্র কাব্যপ্রবাহ, পূর্ণাঙ্গ সংস্করণ (১৯৬৬)
৮) রবীন্দ্রনাথের ছোটো গল্প (১৩৬১)
৯) রবীন্দ্র-বিচিত্রা (১৩৬৬)
১০) রবীন্দ্র সরণী (১৩৬৯)
১১) রবীন্দ্র নাট্য প্রবাহ (১৩৭৩)
১২) শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথ (১৩৭৯)
১৩) রবীন্দ্র কাব্যে বস্তুবিচার (১৯৮৫)
♣সম্পাদিত গ্রন্থ : তিনি কয়েকটি গ্রন্থ সম্পাদনা করেছেন। তার মধ্যে দুটি বিখ্যাত গ্রন্থ হল :-
১) "ভূদেব রচনা সমগ্র"
২) "বিদ্যাসাগর রচনা সমগ্র"
♣পুরস্কার ও সম্মাননা :-
১) "সরোজিনী স্বর্ণ পদক" (১৯৫৮)
২) "রবীন্দ্র পুরস্কার" (১৯৬০) - "কেরী সাহেবের মুন্সী" (১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দ / ১৩৬৫ বঙ্গাব্দ) উপন্যাসের জন্য।
৩) "প্রফুল্ল কুমার স্মৃতি পুরস্কার" (১৯৬১)
৪) "পদ্মশ্রী পুরস্কার" (১৯৭১)
৫) "শরৎচন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার" (১৯৮১)
৬) "বিদ্যাসাগর স্মৃতি পুরস্কার" (১৯৮২)
৭) "জগত্তারিনী পুরস্কার" (১৯৮৩)
♣কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী :-
১) প্রমথনাথ বিশীকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাটক লিখতে শিখিয়েছিলেন।
২) ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে মাত্র ১০ বছর বয়সে রায়পুর গ্রাম ঘুরে এসে তিনি প্রথম প্রবন্ধ লেখেন।
৩) প্রমথনাথ বিশীর "রথযাত্রা" (১৩২৯ বঙ্গাব্দ) নাটক শুনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর "প্রবাসী পত্রিকায় "রথযাত্রা" নাটক লেখেন।
৪) নাটক, উপন্যাস, প্রবন্ধ ও সমালোচনা গ্রন্থ, রবীন্দ্র বিষয়ক গ্রন্থ - এই সবকিছু রচনা করলেও কবিতা লিখতেই তিনি বেশি পছন্দ করতেন এবং সেজন্য নিজেকে "কবি" বলতেন।
৫) বিষ্ণু শর্মা ছদ্মনামে "কল্লোল" পত্রিকাকে কটাক্ষ করে ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে প্রমথনাথ বিশী "কথামালার গল্প" রচনা করেন।
৬) প্রমথনাথ বিশীর প্রথম উপন্যাস "দেশের শত্রু" ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে / ১৩৩১ বঙ্গাব্দে, প্রথম কাব্যগ্রন্থ "দেওয়ালি" / "দেয়ালি" ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে / ১৩৩০ বঙ্গাব্দে, প্রথম নাটক "রথযাত্রা" ১৩২৯ বঙ্গাব্দে এবং প্রথম ছোটোগল্প-সংকলন "শ্রীকান্তের পঞ্চম পর্ব" ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়।
৭) ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে ছোটোগল্পের কথা বলতে গিয়ে তিনি "সিঙ্গেল ইনট্রেশান" কথাটি ব্যবহার করেন।
৮) প্রমথনাথ বিশী "বাংলা গদ্যের পদাঙ্ক" গ্রন্থে লিখেছেন, "রবীন্দ্রনাথের প্রবন্ধ জ্ঞানের সাহিত্য হয়নি, ভাবের সাহিত্য হয়েছে।"
৯) প্রমথনাথ বিশী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে বলেছেন, "বাংলা গদ্যের শক্তি, সীমা ও সহিষ্ণুতা নিয়ে রবীন্দ্রনাথের মত পরীক্ষা করেছেন এমন আর কেউ নয়।"
১০) প্রমথনাথ বিশীর সম্পর্কে অধ্যাপক অমিত্রসূদন ভট্টাচার্য বলেছেন, "১৯৩৭ সাল পর্যন্ত তাঁর কাব্যকে একটি পর্যায়ে এবং তাঁর পরবর্তী কাব্যধারাকে অপর একটি পর্যায়ে ভাগ করা যায়।"
১১) ১২ বছর বয়সে অঙ্ক পরীক্ষা দিতে গিয়ে পরীক্ষার খাতায় তিনি একটি কবিতা লিখে আসেন। কবিতাটি হল :-
"হে হরি হে দয়াময়
কিছু মার্ক দিয়ো আমায়
তোমায় স্মরণাগত,
নাহি সতত
শুধু এই পরীক্ষার সময়।"
১২) "আনন্দবাজার" পত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশিত হত তাঁর "কমলাকান্তের আসর" (প্রথম খণ্ড : ১৩৬২ বঙ্গাব্দ) নামক প্রবন্ধ ও সমালোচনা গ্রন্থটি। এই প্রবন্ধ ও সমালোচনা মূলক গ্রন্থটি সেসময় খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল।
১৩) তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্নেহধন্য ছিলেন। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সান্নিধ্যে ছিলেন ১৭ বছর।
১৪) "কেরী সাহেবের মুন্সী" (১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দ / ১৩৬৫ বঙ্গাব্দ) এবং এবং "লালকেল্লা" (১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দ / ১৩৭০ বঙ্গাব্দ) হল প্রমথনাথ বিশীর দুটি শ্রেষ্ঠ উপন্যাস। প্রথমটিতে ব্রিটিশ যুগের এবং দ্বিতীয়টিতে মুঘল যুগের পটভূমিতে ব্যক্তি, সমাজ ও ইতিহাসের বিচিত্র বর্ণনা আছে।
১৫) মানবচরিত্রের সূক্ষ্ম অনুভূতিসহ সরস ভাষায় অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তিনি বর্ণনা করেছেন।
No comments