রসংক্ষেপ বাংলা সাহিত্য ও বাংলাদেশ বিষয়বলী
আলমগীর কবির
১। ১৯৬৭ সালে আলমগীর কবির দৈনিক অবজারভার পত্রিকায় যোগ দেন
২। ১৯৬৯ সালে ঢাকা সিনেক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন।
৩। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগ দেন এবং ইংরেজি বিভাগের প্রধান
হিসেবে কাজ করেন। ‘আহমেদ চৌধুরী’ ছদ্মনামে তিনি ইংরেজি খবর ও কথিকা পাঠ করেন।
৪। তিনি লিবারেশন ফাইটার্স নামে একটি প্রামাণ্য চিত্র নির্মাণ করেন।
৫। তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার উপর নির্মিত স্টপ জেনোসাইড-এর চিত্রনাট্যকার ও
ধারাভাষ্যকার ছিলেন।
- ধীরে বহে মেঘনা (১৯৭৩),
- সূর্যকন্যা (১৯৭৬),
- সীমানা পেরিয়ে (১৯৭৭),
- রূপালী সৈকতে (১৯৭৯),
- মোহনা (১৯৮২),
- পরিণীতা (১৯৮৪)
- মহানায়ক (১৯৮৫)
৬। তাঁর নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হলো
- লবারেশন ফাইটার্স,
- প্রোগ্রাম ইন বাংলাদেশ,
- কালচার ইন বাংলাদেশ,
- সুফিয়া,
- অমূল্যধন,
- ভোর হলো দোর খোল,
- আমরা দুজন,
- এক সাগর রক্তের বিনিময়ে,
- মণিকাঞ্চন
- চোরাস্রোত।
৭। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ।
- এছাড়া ফিল্ম ইন ইস্ট পাকিস্তান,
- ফিল্ম ইন বাংলাদেশ,
- সূর্যকন্যা,
- সীমানা পেরিয়ে,
- মোহনা
- সিনেমা ইন বাংলাদেশ
৮। তিনি ১৯৭১ সালে চলচ্চিত্রের আদলে দুটি নাটক
- ধীরে বহে মেঘনা ও
- দিস ওয়াজ রেডিও বাংলাদেশ
৯। পুরস্কার
- বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার,
- উত্তরণ-এর জহির রায়হান চলচ্চিত্র পুরস্কার ও
- সৈয়দ মোহাম্মদ পারভেজ পুরস্কার লাভ করেন।
১৯৮৯ সালের ২০ জানুয়ারি তাঁর মৃত্যু হয়।
হুমায়ুন কবির
১। তিনটি কাব্যগ্রন্থ
- স্বপ্নসাধ (১৯২৮),
- সাথী (১৯৩০) ও
- অষ্টাদশী
২। তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হলো:
- ইমানুয়েল কান্ট (১৯৩৬),
- শরৎ সাহিত্যের মূলতত্ত্ব (১৯৪২),
- বাংলার কাব্য (১৯৪৫),
- মার্কসবাদ (১৯৫১),
- নয়া ভারতের শিক্ষা (১৯৫৫),
- শিক্ষক ও শিক্ষার্থী (১৯৫৭),
- মিরজা আবু তালিব খান (১৯৬১),
- দিল্লী-ওয়াশিংটন-মস্কো (১৯৬৪),
- Kant on Philosophy in General (১৯৩৫),
- Poetry, Monads and Society (১৯৪১),
- Muslim Politics in Bengal (১৯৪৩),
- Rabindranath Tagore (১৯৪৫),
- The Indian Heritage (১৯৪৬,
- ১৯৬০),
- Science,
- Democracy and Islam (১৯৫৫),
- Education in India (১৯৫৬),
- Studies in Bengali Poetry (১৯৬৪),
- The Bengali Novel (১৯৬৮),
- Education for Tomorrow (১৯৬৮),
- Minorities in Democracy (১৯৬৯)
৩। তাঁর রচিত গ্রন্থসংখ্যা মোট ৪৫।
৪। বক্তারূপে বিশেষ সুনামের অধিকারী হুমায়ুন কবির দেশে-বিদেশে বহু বিশ্ববিদ্যালয়ের
আমন্ত্রণ পেয়েছেন। অক্সফোর্ডে আইনস্টাইন ও রাসেলের ওপর তিনি হার্বার্ট স্পেন্সার
বক্তৃতা দিয়েছেন। এ কাজে এশীয়দের মধ্যে তিনিই প্রথম।
৫। ১৯৫৭ সালে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী আহূত কাগমারি সম্মেলনে তিনি ভারতীয়
প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
৬। ১৯৬৯ সালের ১৮ আগস্ট হূদরোগে তাঁর মৃত্যু হয়।
শেখ ফজলল করিম
১। করিম, শেখ ফজলল (১৮৮২-১৯৩৬) কবি, সাহিত্যিক, সম্পাদক। জন্ম রংপুর জেলার
কাকিনা গ্রামে, ৯ এপ্রিল ১৮৮২।
২। তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হলো:
- তৃষ্ণা (১৯০০)।
- তাঁর পরিত্রাণ (১৯০৩) কাব্য হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর চারিত্র্য-মাহাত্ম্য ও ধর্মজীবন নিয়ে রচিত।
- ভগ্নবীণা (১৯০৪),
- প্রেমের স্মৃতি (১৯০৫),
- ভক্তি পুষ্পাঞ্জলি (১৯১১),
- পথ ও পাথেয় (১৯১৩),
- গাথা (১৯২০),
- উচ্ছ্বাস প্রভৃতি খন্ড কবিতা ও আখ্যানমূলক কাব্য।
- লায়লী-মজনু ও হারুন-অর-রশিদ (১৯১৩) নামে আখ্যানধর্মী উপন্যাস রচনা করেন।
৩। তিনি গদ্য রচনাতেও কৃতিত্বের পরিচয় দেন
- হজরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী,
- আফগানিস্তানের ইতিহাস (১৯০৯),
- বিবি রহিমা (১৯১৮),
- রাজর্ষি ইবরাহিম (১৯২৪),
- বিবি খদিজা (১৯২৭),
- বিবি ফাতেমা
৪। তাঁর গদ্যভাষা অত্যন্ত প্রাঞ্জল ও বিশুদ্ধ। গদ্য ও পদ্য মিলে তাঁর গ্রন্থসংখ্যা চল্লিশ।
৫। তিনি বাসনা (বৈশাখ ১৩৩৫) পত্রিকা সম্পাদনা করেন।
কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক, কে বলে তা বহু দূর,
মানুষের মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেতে সুরা-সুর।
রিপুর তাড়নে যখনই মোদের বিবেক পায় গো লয়,
আত্মগ্লানির নরক অনলে তখনি পুড়িতে হয়।
প্রীতি-প্রেমের পুণ্য বাঁধনে যবে মিলি পরস্পরে,
স্বর্গ আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদেরই কুঁড়ে ঘরে।
৬। সাহিত্য ক্ষেত্রে অবদানের জন্য নদীয়া সাহিত্য সভা তাঁকে
- সাহিত্যবিশারদ (১৯১৬)
- কাব্যরত্নাকর (১৯১৭)
৭। তাঁর মৃত্যু ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৩৬।
লর্ড চার্লস কর্নওয়ালিস
১। কর্নওয়ালিস, লর্ড চার্লস (১৭৩৮-১৮০৫) ১৭৮৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭৯৩ সালের ১০
অক্টোবর পর্যন্ত বাংলায় ফোর্ট উইলিয়ম এর গভর্নর জেনারেল।
২। তিনি ছিলেন চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ও বাংলায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রশাসনিক ও বিচার ব্যবস্থার রূপকার।
৩। ১৭৮৪ সালের পিট-এর ভারত আইন এর অধীনে কর্নওয়ালিস ফোর্ট উইলিয়মের গভর্নর জেনারেল
নিযুক্ত হন।
৪। তিনি প্রশাসন থেকে কোম্পানির বাণিজ্যকে আলাদা করেন এবং প্রশাসনকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য
উচ্চ বেতনভোগী ও পেশাগতভাবে সুশৃঙ্খল ‘সিভিল সার্ভিস’ গঠন করেন।
৫। তাঁর সংস্কার কর্মসূচি পরিচালনার জন্য কাউন্সিলের একজন সদস্যকে সভাপতি করে ব্যাপক ক্ষমতা
সম্পন্ন একটি রাজস্ব পরিষদ (বোর্ড অব রেভিনিউ) স্থাপন করা হয়।
৬। তিনি চারস্তর বিশিষ্ট বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।
৭। ওয়ারেন হেস্টিংস এর শাসনামলে কাউন্সিলের সদস্য ফিলিপ ফ্রান্সিসই প্রথম চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত সম্পর্কে
ধারণা করেন এবং ধারণাটির বিকাশ ঘটাতে প্রয়াসী হন।
৮। ১৭৮৪ সালের পীটের ভারত শাসন আইনে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয় যে, বাংলার ভূমি ব্যবস্থা
জমিদারদের সঙ্গে স্থায়ী ভিত্তিতে করতে হবে।
৯। ১৭৯০ সালে দশসালা বন্দোবস্তের মাধ্যমে ভূ-স্বামীদের উপর যে রাজস্ব নির্ধারণ করা হয়েছিল তাই
চিরস্থায়ী রাজস্ব হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
১০। টিপু সুলতানকে পরাজিত এবং একটি আরোপিত শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরে বাধ্য করে কর্নওয়ালিস সত্যিকার
অর্থেই কোম্পানি রাজ্যের নিরাপত্তা বলয় বৃদ্ধি করেন।
১১। ১৭৯২ সালের আগস্ট মাসে তাঁকে ‘মার্কুইস’ উপাধি প্রদান করা হয়।
১২। ১৭৯২ সালের আগস্ট মাসে তাঁকে ‘মার্কুইস’ উপাধি প্রদান করা হয়।
১৩। ১৮০৫ সালের ৫ অক্টোবর দেশে প্রত্যাবর্তনের পথে তিনি গাজীপুরে মারা যান।
১৪। ১৭৯৩ সালে ভারতের ব্রিটিশ গভর্নর জেনারেল লর্ড কর্নওয়ালিস ৪৮টি রেগুলেশন বা আইন জারি
করেন।
আবদুল কাদির
১। কাদির, আবদুল (১৯০৬-১৯৮৪) কবি, প্রাবন্ধিক, ছন্দোবিশারদ, সম্পাদক। ১৯০৬ সালের ১ জুন কুমিল্লা জেলার আড়াইসিধা গ্রামে তাঁর জন্ম।
২। ১৯৫২ সালে ঢাকায় এসে তিনি মাসিক মাহে নও পত্রিকা সম্পাদনা করেন (১৯৫২-১৯৬৪)।
৩। পরবর্তীকালে তিনি কেন্দ্রীয় বাংলা উন্নয়ন বোর্ডের প্রকাশনা কর্মকর্তা (১৯৬৪-১৯৭০) পদে দায়িত্ব পালন করেন।
৪। কবিতা ও প্রবন্ধগ্রন্থ:
দিলরুবা (১৯৩৩),
উত্তর বসন্ত (১৯৬৭),
কবি নজরুল (১৯৭০),
ছন্দসমীক্ষণ (১৯৭৯),
কাজী আবদুল ওদুদ (১৯৭৬),
বাংলা ছন্দের ইতিবৃত্ত (১৯৮৫),
যুগকবি নজরুল (১৯৮৬)
৫। আবদুল কাদির বেশসংখ্যক রচনাবলি সম্পাদনার কৃতিত্ব অর্জন করেন
- কাব্যমালঞ্চ (যুগ্মভাবে, ১৯৪৫),
- এয়াকুব আলী চৌধুরী রচনাবলী (১৯৬৩),
- নজরুল রচনাবলী (৫ খন্ড, ১৯৬৬-১৯৮৪),
- শিরাজী রচনাবলী (১৯৬৭),
- কাজী ইমদাদুল হক রচনাবলী (১৯৬৮),
- আবুল হুসেন রচনাবলী (১৯৬৮),
- লুৎফর রহমান রচনাবলী (১ম খন্ড, ১৯৭২),
- রোকেয়া রচনাবলী (১৯৭৩),
- বাংলা সনেট (১৯৭৪) ইত্যাদি।
৬। সাহিত্য সাধনার স্বীকৃতিস্বরূপ আবদুল কাদির
- বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৩),
- আদমজী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৭),
- একুশে পদক (১৯৭৬),
- নজরুল একাডেমী স্বর্ণপদক (১৯৭৭),
- কুমিল্লা ফাউন্ডেশন পদক (১৯৭৭),
- মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন স্বর্ণপদক (১৯৭৭) ও
- মুক্তধারা পুরস্কার লাভ করেন।
৭। ১৯৮৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর ঢাকায় তাঁর মৃত্যু হয়।
বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল
১। কামাল, বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ মোস্তফা (১৯৪৭-১৯৭১) শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। ভোলা জেলায় দৌলতখান উপজেলার পশ্চিম হাজীপাড়া গ্রামে ১৯৪৭ সালে তাঁর জন্ম।
২। তাঁর পিতা মোহাম্মদ হাফিজ ছিলেন সেনাবাহিনীর হাবিলদার।
৩। মোস্তফা কামাল ১৯৬৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে পালিয়ে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগ দেন।
৪। প্রশিক্ষণ শেষে তাঁকে নিয়োগ করা হয় ৪ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, কুমিল্লায়।
৫। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর কয়েকদিন পূর্বে সিপাহি মোস্তফা কামাল অবৈতনিক ল্যান্স নায়েক হিসেবে পদোন্নতি পান।
৬। ১৭ এপ্রিল সকাল থেকে পাকিস্তানি বাহিনী তীব্র গোলাবর্ষণ শুরু করে প্লাটুন পজিশনের উপর।
৭। আক্রমণের খবর পেয়ে মেজর শাফায়াত অবস্থানকে আরো শক্তিশালী করতে হাবিলদার মুনিরের নেতৃত্বে ডি কোম্পানির ১১ নম্বর প্লাটুন পাঠান।
৮। ১৭ এপ্রিল পাকিস্তানি সৈনিকরা ট্রেঞ্চে এসে তাঁকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে।
৯। দরুইন গ্রামের জনগণ মোস্তফা কামালকে তাঁর শাহাদাতের স্থানের পাশেই সমাহিত করেন।
১০। মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতা ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাঁকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত করে।
১১। তারা মেজর খালেদ মোশারফের নেতৃত্বে আশুগঞ্জ, উজানিস্বর ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার এন্ডারসন খালের পাশ দিয়ে প্রতিরক্ষা অবস্থান নেন।
বেগম সুফিয়া কামাল
১। কামাল, বেগম সুফিয়া (১৯১১-১৯৯৯) কবি, বুদ্ধিজীবী, সমাজনেত্রী। সুফিয়া কামালের জন্ম ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালের শায়েস্তাবাদে এক অভিজাত পরিবারে।
২। ১৯২৩ সালে মামাতো ভাই সৈয়দ নেহাল হোসেনের সঙ্গে সুফিয়ার বিয়ে হয়।
৩। ১৯২৩ সালে তিনি রচনা করেন তাঁর প্রথম গল্প ‘সৈনিক বধূ’, যা বরিশালের তরুণ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
৪। সওগাত সম্পাদক মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন (১৮৮৮-১৯৯৪) ১৯২৬ সালে তাঁর প্রথম কবিতা ‘বাসন্তী’ প্রকাশ করেন।
৫। ১৯২৯ সালে সুফিয়া কামাল বেগম রোকেয়া প্রতিষ্ঠিত মুসলিম মহিলা সংগঠন ‘আঞ্জুমান-ই-খাওয়াতিন-ই-ইসলাম’-এ যোগ দেন।
৬। ১৯৩৮ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর সাঁঝের মায়া কাব্যগ্রন্থটি
৭। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সুফিয়া কামাল সরাসরি অংশগ্রহণ করেন।
৮। ১৯৬৯ সালে ‘মহিলা সংগ্রাম পরিষদ’ (বর্তমানে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ) গঠিত হলে তিনি তার প্রতিষ্ঠাতাপ্রধান নির্বাচিত হন
৯। সুফিয়া কামাল একালে আমাদের কাল নামে একটি আত্মজীবনী রচনা করেছেন।
১০। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ:
- কেয়ার কাঁটা (১৯৩৭)
- মায়া কাজল (১৯৫১),
- মন ও জীবন (১৯৫৭),
- উদাত্ত পৃথিবী (১৯৬৪),
- অভিযাত্রিক (১৯৬৯)
১১। ১৯৮৪ সালে রুশ ভাষায় তাঁর সাঁঝের মায়া গ্রন্থটি সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে প্রকাশিত হয়।
১২। ২০০১ সালে বাংলা একাডেমী তাঁর কিছু কবিতার ইংরেজি অনুবাদ নিয়ে Mother of Pearls and Other Poems
১৩। ২০০২ সালে সুফিয়া কামালের রচনা সমগ্র প্রকাশ করেছে।
১৪। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ২০টিরও বেশি।
১৫। ১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর ঢাকায় তাঁর জীবনাবসান ঘটে।
কায়কোবা
১। কায়কোবাদ (১৮৫৭-১৯৫১) আধুনিক বাংলা মহাকাব্য ধারার শেষ কবি।
২। তাঁর প্রকৃত নাম মোহাম্মদ কাজেম আল কোরেশী, ‘কায়কোবাদ’ তাঁর সাহিত্যিক ছদ্মনাম।
৩। মাত্র তেরো বছর বয়সে তাঁর প্রথম কাব্য বিরহবিলাপ (১৮৭০) প্রকাশিত হয়।
৪। তাঁর অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ হচ্ছে:
- কুসুম কানন (১৮৭৩),
- অশ্রুমালা (১৮৯৫),
- মহাশ্মশান (১৯০৪),
- শিব-মন্দির (১৯২২),
- অমিয়ধারা (১৯২৩),
- শ্মশান-ভস্ম (১৯২৪)
- মহরম শরীফ (১৯৩২)।
- কবির মৃত্যুর বহুদিন পরে প্রেমের ফুল (১৯৭০),
- প্রেমের বাণী (১৯৭০),
- প্রেম-পারিজাত (১৯৭০),
- মন্দাকিনী-ধারা (১৯৭১)
- গওছ পাকের প্রেমের কুঞ্জ (১৯৭৯) প্রকাশিত হয়।
- সম্প্রতি বাংলা একাডেমী কায়কোবাদ রচনাবলী (৪ খন্ড, ১৯৯৪-৯৭) প্রকাশ করেছে।
৫। কায়কোবাদ বাংলার অপর দুই মহাকবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ও নবীনচন্দ্র সেনের ধারায় মহাকাব্য রচনা করেন।
৬। ১৯৫১ সালের ২১ জুলাই ঢাকায় তাঁর মৃত্যু হয়।
শহীদুল্লা কায়সার
১। কায়সার, শহীদুল্লা (১৯২৭-১৯৭১) কথাসাহিত্যিক, সাংবাদিক, লেখক। ১৯২৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ফেনী জেলার মজুপুর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
২। তাঁর প্রকৃত নাম আবু নাঈম মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
৩। প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার ও লেখক জহির রায়হান তাঁর অনুজ। পান্না কায়সার তাঁর সহধর্মিণী।
৪। ১৯৪৯ সালে ঢাকার সাপ্তাহিক ইত্তেফাক পত্রিকায় শহীদুল্লার সাংবাদিক জীবন শুরু হয়।
৫। শহীদুল্লা কায়সারের প্রধান উপন্যাস
- সারেং বউ (১৯৬২)
- সংশপ্তক (১৯৬৫),
- কৃষ্ণচূড়া মেঘ,
- তিমির বলয়,
- দিগন্তে ফুলের আগুন,
- সমুদ্র ও তৃষ্ণা,
- চন্দ্রভানের কন্যা,
- কবে পোহাবে বিভাবরী (অসমাপ্ত)
- রাজবন্দীর রোজনামচা (১৯৬২)
- পেশোয়ার থেকে তাসখন্দ (১৯৬৬)
৬। তাঁর স্মৃতিকথা ও ভ্রমণবৃত্তান্ত। সারেং বৌ-এর কাহিনী অবলম্বনে উন্নত মানের একটি চলচ্চিত্র এবং সংশপ্তক অবলম্বনে একটি জনপ্রিয় টিভি সিরিয়াল নির্মিত হয়েছে।
৭। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পূর্ব মুহূর্তে ১৪ ডিসেম্বর রাতে ঢাকার বাসভবন থেকে তিনি অপহূত হন এবং আর ফিরে আসেন নি।
লর্ড কার্জন
১। লর্ড কার্জন পর পর দুবার ভারত সাম্রাজ্যের অধিকর্তা ছিলেন।
২। তাঁর প্রথম বারের শাসনকালকে (১৮৯৯-১৯০৪) ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের স্বর্ণযুগ বলা যায়।
৩। দ্বিতীয় বারে ভারতের শাসনভার গ্রহণ করে মাত্র একবছরের মাথায় তিনি পদত্যাগ করেন।
৪। সীমান্ত নীতি কার্জনের গৃহীত প্রথম পদক্ষেপ ছিল চিত্রল, খাইবার ও খুর্রম উপত্যকা থেকে সৈন্য
প্রত্যাহার
৫। ১৯০৩ সালের পুলিশ রিপোর্ট-এর উপর ভিত্তি করে তিনি ভারতীয় পুলিশ বাহিনীকে পুনর্গঠিত
করেছিলেন।
৬। ভূমি ব্যবস্থায় তাঁর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান ‘পাঞ্জাব ল্যান্ড এলিয়েনেশন অ্যাক্ট’।
৭। ব্রিটিশ শাসনের নিদর্শন হিসেবে তিনি কলকাতায় নির্মাণ করেন ‘ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল’।
৮। ব্রিটিশ মিউজিয়াম আর অক্সফোর্ডের বোদলেইয়ান লাইব্রেরির আদলে স্থাপন করেন ‘ইমপেরিয়াল
লাইব্রেরি’।
৯। ১৯০৪ সালের ‘ইউনিভার্সিটিজ অ্যাক্ট’
১০। লর্ড কার্জনের সর্বাপেক্ষা বিতর্কিত পদক্ষেপ ছিল বঙ্গভঙ্গ।
১১। কংগ্রেস একে ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ (Devide and Rule) নীতি হিসেবে আখ্যা দেয়
১২। লর্ড কার্জন ১৯০৫ সালের আগস্ট মাসে পদত্যাগ করেন এবং ইন্ডিয়া অফিসও তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর
পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে।
১৩। ১৯২৫ সালের ২০ মার্চ লর্ড কার্জনের মৃত্যু হয়।
শামসুদ্দীন আবুল কালাম
১। কালাম, শামসুদ্দীন আবুল (১৯২৬-১৯৯৭) কথাসাহিত্যিক। ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে
বরিশালের নলছিটি থানার কামদেবপুর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
২। তাঁর প্রকৃত নাম ‘আবুল কালাম শামসুদ্দীন’; ১৯৫৫ সাল থেকে তিনি বর্তমান নামে পরিচিত হন।
৩। ১৯৫০ সালে মাহে নও পত্রিকার সম্পাদক হন।
৪। তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি রচনা হলো:
- অনেক দিনের আশা (১৯৫২),
- ঢেউ (১৯৫৩),
- পথ জানা নাই (১৯৫৩),
- দুই হূদয়ের তীর (১৯৫৫),
- শাহের বানু (১৯৫৭),
- পুঁই ডালিমের কাব্য (১৯৮৭);
উপন্যাস
- আলমনগরের উপকথা (১৯৫৪),
- কাশবনের কন্যা (১৯৫৪),
- কাঞ্চনমালা (১৯৬১),
- জায়মঙ্গল (১৯৭৮) ও
- কাঞ্চনগ্রাম (১৯৯৮)।
৫। সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ১৯৯৪ সালে ‘বাংলা একাডেমী পুরস্কার’ লাভ করেন।
৬। ১৯৯৭ সালের ১০ জানুয়ারি রোমে তাঁর মৃত্যু হয় এবং ঢাকায় তিনি সমাহিত হন।
কীটনাশক
১। প্যারিস গ্রিন ১৯০০ সালের মধ্যেই খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং ইউরোপ ও আমেরিকার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।
২। কীটনাশক হিসেবে রোটিনোন ১৮৪৮ সালে পাতাভুক শুঁয়াপোকা দমনে প্রথম ব্যবহূত হয়েছিল।
৩। তবে, ১৯০২ সালের পূর্বে রোটিনোনের কার্যকর উপাদানটি পৃথক করা সম্ভব হয় নি।
৪। এন্ড্রিন মাছের জন্য অত্যধিক বিষাক্ত বিধায় ১৯৬২ সাল থেকে বাংলাদেশে এনড্রিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ।
৫। বাংলাদেশে ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণের জন্য ১৯৫৬ সালের পূর্বে তেমন কীটনাশক ব্যবহার হয় নি।
৬। ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত সরকার বিনামূল্যে কৃষকদের মধ্যে ১০০% ভর্তুকিসহ কীটনাশক বিতরণ করত।
৭। ১৯৭৪ সালে এ ভর্তুকি ৫০% কমিয়ে এবং ১৯৭৯ সালে ভর্তুকি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে কীটনাশক ব্যবসা
বেসরকারি খাতে হস্তান্তরিত হয়।
৮। বর্তমানে প্রায় ৪৮টি কীটনাশক অন্যূন ১৫০টি ট্রেডমার্ক সম্বলিত নামে বাংলাদেশে তালিকাভুক্ত আছে।
৯। ৩০টি কোম্পানি/প্রতিষ্ঠান গোটা বাংলাদেশে রাসায়নিক সামগ্রী বাজারজাত করে।
কীটপতঙ্গ
১। কীটপতঙ্গ (Insecta) Insecta শ্রেণির সদস্যদের সাধারণ নাম।
২। এ পর্যন্ত জানা প্রাণীর প্রজাতি সংখ্যার শতকরা প্রায় ৮৫ ভাগ কীটপতঙ্গ।
৩। এখন পর্যন্ত এদের প্রায় ১০ লক্ষ প্রজাতির বর্ণনা হয়েছে।
৪। কীটপতঙ্গের দেহ তিনটি অংশে বিভক্ত- মাথা, বক্ষদেশ ও উদর।
৫। কাইটিন দ্বারা গঠিত শক্ত বহিঃকঙ্কালে দেহ আবৃত।
৬। অাঁশপোকা দুই প্রকার
নিতুন কুন্ডু
১। কুন্ডু, নিতুন (১৯৩৫-২০০৬) চিত্রশিল্পী, নকশাবিদ, ভাস্কর, শিল্পপতি। জন্ম ১৯৩৫ সালের ৩ ডিসেম্বর
দিনাজপুরে।
২। ১৯৭৫ সালে গড়ে তোলেন ‘অটবি’
৩। একজন সৃজনশীল চিত্রশিল্পী হিসেবে ঢাকা (১৯৬৫, ১৯৬৬), চট্টগ্রাম (১৯৬৬) ও রাজশাহীতে (১৯৬৮)
তাঁর মোট চারটি একক চিত্র প্রদর্শনী হয়।
৪। তিনি নির্মাণ করেছেন
- ভাস্কর্য (‘মা ও শিশু’, ১৯৭৫;
- ‘সাবাস বাংলাদেশ’, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৯২ এবং
- ঐতিহ্যবাহী নৌকার প্রতীক ‘সাম্পান’, চট্টগ্রাম বিমান বন্দর, ২০০১),
- ফোয়ারা (‘কদমফুল’, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনের সড়কদ্বীপ, ঢাকা,
- আশির দশক; ‘সার্ক ফোয়ারা’, সোনারগাঁ সড়কদ্বীপ, ঢাকা, ১৯৯৩) ও
- ম্যুরাল (ঢাকার মধুমিতা সিনেমা হল, ১৯৬৬-৬৭;
- হোটেল শেরাটন ও
- গুলশান জনতা ব্যাংক)।
৫। তাঁর মৃত্যু ঢাকায়, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৬।
No comments