জানা-অজানা নিউজ ( ব্ল্যাক হোল (Black Hole) কি?)
আজ কথা হবে ব্ল্যাক হোল (কৃষ্ণগহ্বর) নিয়ে। নামটা শুনলেই যেন দেহ শিউরে ওঠে। হ্যাঁ শিউরে ওঠারই কথা, কারণ জায়গাটায় যে এমন।
ব্ল্যাক হোল (Black Hole) এমন একটি জায়গা, যেখানে কোনো কিছু প্রবেশ করলে আর ফিরে আসে না। এমনকি আলোও এ গহ্বরকে অতিক্রম (Transits) করতে পারে না। নাম গহ্বর (Cavity) হলেও ব্ল্যাক হোলের মধ্যে কিন্তু সম্পূর্ণটা ফাঁকা জায়গা নয়। বরং এর মধ্যে খুব অল্প জায়গায় এত ভারী সব বস্তু আছে যে, এসবের কারণে তীব্র মহাকর্ষীয় শক্তি উৎপন্ন হয়।
ব্ল্যাক হোলের পেছনে Event Horizon নামের একটি স্থান আছে, যাকে Points of no return বলা হয়। এ জায়গায় মহাকর্ষীয় শক্তি এতটাই তীব্র যে, এখান থেকে কোনো কিছুই আর ফেরত আসতে পারে না।
মানব ইতিহাসে প্রথম কোনো কৃষ্ণগহ্বর (Black Hole) বা ব্ল্যাক হোলের ছবি প্রকাশিত হয় ১০ এপ্রিল ২০১৯। কৃষ্ণগহ্বরের প্রথম ছবি সংক্রান্ত বিস্তারিত গবেষণা নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সাময়িকী দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটারস-এ।
পৃথিবী থেকে ৫ কোটি ৩৫ লাখ আলোকবর্ষ বা প্রায় ৫১ কোটি মিলিয়ন ট্রিলিয়ন কিলোমিটার দূরে এ ব্ল্যাক হোলের অবস্থান। কৃষ্ণগহ্বরটির আকার প্রায় ৪০ বিলিয়ন কিলোমিটার, অর্থাৎ পৃথিবীর চেয়ে প্রায় ৩০ লাখ গুণ বড়। সূর্যের ৪০ লাখ গুণ ওজন এ ব্ল্যাক হোলের ব্যাসার্ধ ১ কোটি ২০ লাখ কিলোমিটার।
ভয়ংকর দৈত্যাকার এ ব্ল্যাক হোলটির ছবি তোলার মতো অসাধ্য সাধন করেছে ইভেন্ট হরাইজন টেলিস্কোপ (Telescopes) (EHT), যা বানানো হয় ৮ টি মহাদেশে (Continent) বসানো অত্যন্ত শক্তিশালী ৮ টি রেডিও টেলিস্কোপের নেটওয়ার্ক দিয়ে। ২০১৭ সালে টেলিস্কোপটি কাজ শুরু করেছিল।