বিসিএস প্রিলিমিনারি ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
#বাংলাদেশের পরিবেশঃ-
✔বাংলাদেশে জনপ্রতি বনভুমির পরিমান -০.০১৮ হেক্টর।
✔বাংলাদেশের বন এলাকা ৪টি অঞ্চলে বিভক্ত-
৪টি। যথা- ১। পাহাড়ী বনাঞ্চল ২.ম্যনাগ্রোভ বনাঞ্চল ৩-সমতল এলাকার শাল বনাঞ্চল ৪.গ্রামীন বন।
✔পাহাড়ী বনাঞ্চলের আয়তন -১৫,৬৬,৯৩৫ একরন
✔ম্যানগ্রোভ বনের আয়তন -১৪,০৫,০০০ একর
✔শাল বনাঞ্চলের আয়তন -২,৮১,৯৫৩ একর
✔বাংলাদেশের মোট আয়তনের অংশ বনাঞ্চল-প্রায় ১৭ শতাংশ।
✔বাংলাদেশের বৃহত্তম বনভূম -পার্বত্য চট্টগ্রামের বনভূমি।
✔বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বনভুমি -সুন্দরবন। (একক হিসেবে বৃহত্তম)
✔বাংলাদেশের তৃতীয় বনাঞ্চল – মধুপুর জঙ্গল।
✔সুন্দরবনের প্রধান বৃক্ষ -সুন্দরী।
✔কাঠ থেকে বাক্স ও দিয়াশলাইয়ের কাঠি প্রস্তুত হয়-গেওয়া।
✔ধুন্দল গাছের কাঠ থেকে প্রস্তুত করা হয়-পেন্সিল।
✔রং প্রস্তুত করা হয় –গরান গাছের ছাল থেকে
✔সবচেয়ে বেশী বৃদ্ধি পায়-বাঁশ জাতীয় গাছ।
✔ভাওয়াল বনাঞ্চল অবস্থিত-গাজীপুর জেলায়।
✔মধুপুর বনাঞ্চলের প্রধান বৃক্ষ -শাল বা গজারী।
✔সুর্যের কন্যা বলা হয়-তুলা গাছকে।
✔দেশের বনাঞ্চলকে চিরহরিৎ বন বলা হয়- পার্বত্য বনাঞ্চল।
✔বরেন্দ্র ভুমিতে গাছ সবচেয়ে বেশি -শাল গাছ।
✔দেশের প্রথম ইকোপার্ক ও বোটানিক্যাল গার্ডেন উদ্ধোধন করা হয় -১৭ জানু ২০০১, চন্দ্রনাথ পাহাড়ে।
✔সুন্দরবন দুটি দেশে বিস্তৃত-বাংলাদেশ-ভারত।
✔বাংলাদেশের দীর্ঘতম গাছের নাম-বৈলাম গাছ।
✔সুন্দরবনের মোট আয়তন -৬০১৭ বর্গ কি. মি।
✔বাংলাদেশের বন গবেষণা কেন্দ্র -চট্টগ্রামে।
✔উপকুলীয় সবুজ বেষ্টনীয় বনাঞ্চলে সৃজন করা হয়েছে -১০টি জেলায়।
✔ক্রান্তীয় বনাঞ্চলের প্রধান গাছ হল -শাল বা গজারী।
✔পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে গাছটি ক্ষতিকারক-ইউক্লিপটাস।
✔দেশের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য বনাঞ্চল থাকা প্রয়োজন মোট ভুমির-২৫ শতাংশ।
✔বাংলাদেশের বনাঞ্চলের পরিমাণ মোট ভুমির শতাংশ-১৭%।
✔বাংলাদেশের জাতীয় বননীতি সালে প্রনীত হয়-১৯৭৯ সালে।
✔সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষণা করে =UNESCO
✔UNESCO সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষণা করে = ৬ ডিসেম্বর, ১৯৯৭ সালে এবং ৫২২তম
✔বাংলাদেশে মোট বনভূমির পরিমাণ => ২৫ লক্ষ হেক্টর বা ২৫ হাজার বর্গ কি.মি. (প্রায়)
✔বাংলাদেশে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য বনভূমির পরিমাণ ২০%-এ উন্নীত করা হবে => ২০১৫ সালে
✔FAO-এর মতে বাংলাদেশে মোট ভূমির বনভূমি রয়েছে= ১০% (প্রায়)
✔পাহাড়ি বনাঞ্চলের আয়তন = ১৩,৩৫৫ বর্গ কি.মি. (প্রায়)
✔ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের আয়তন = ৭,৪১২ বর্গ কি.মি. (প্রায়)
✔শাল বনাঞ্চলের আয়তন = ১,২১৪ বর্গ কি.মি. (প্রায়)
✔গ্রামীণ বন এলাকার আয়তন = ২,৭১১ বর্গ কি.মি.
✔একক হিসেবে বাংলাদেশের বৃহত্তম বন = সুন্দরবন
✔সুন্দরবনের আয়তন = ৫,৭৪৭ বর্গ কি.মি. বা ৫,৫৭৫ বর্গ কি.মি
✔সুন্দরবনের আয়তন = ২,৪০০ বর্গ মাইল
✔সুন্দরবনের ৬২ শতাংশ বাংলাদেশে পড়েছে
✔সুন্দরবন বাংলাদেশের ৫টি জেলাকে স্পর্শ করেছে-খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী ও বরগুনা
✔অঞ্চল হিসেবে বাংলাদেশের বৃহত্তম বন= পাহাড়ি বা পার্বত্য চট্টগ্রাম বনাঞ্চল
✔বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম বনাঞ্চল = মধুপুর বনাঞ্চল
✔সুন্দরবনে বেশি পাওয়া যায়= সুন্দরি, গেওয়া, কেওড়া, ধুন্দল, গোলপাতা ইত্যাদি
✔সুন্দরবনের প্রাণিজ সম্পদ = রয়েল বেঙ্গল টাইগার, হরিণ, বানর, সাপ, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি প্রভৃতি
✔সুন্দরি গাছ কত দীর্ঘ হতে পারে= ৪০ থেকে ৬০ ফুট পর্যন্ত
✔বাংলাদেশের ব্যবহৃত ৬০ ভাগ কাঠের সুন্দরবন থেকে আসে
✔বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে কোন রাষ্ট্রীয় বনভূমি নেই= ২৮টি জেলায়
✔পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় বনভূমি রয়েছে = ৭টি জেলায় যথা:
(১) চট্টগ্রাম, (২) রাঙামাটি, (৩) বান্দরবান, (৪) কক্সবাজার, (৫) খুলনা, (৬) বাগেরহাট ও (৭) সাতক্ষীরা
✔মধুপুরের বনাঞ্চল অবস্থিত= গাজীপুর, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলায়
✔মধুপুরের বনাঞ্চলের প্রধান বৃক্ষ = শাল
✔ভাওয়ালের বনাঞ্চল অবস্থিত= গাজীপুর জেলায়
✔বাংলাদেশের দীর্ঘতম বৃক্ষ = বৈলাম বৃক্ষ (উচ্চতা ২৪০ ফুট প্রায়)
✔বৈলাম বৃক্ষ জন্মে= বান্দরবান বনাঞ্চলে
✔বাঁশ জাতীয় গাছ তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পায়
✔বাংলাদেশে নতুন আমদানি করা হয়েছে= nbsp;ইপিল ইপিল ও নীলগুল মোহর জাতীয় গাছ
✔পরিবেশ রক্ষায় ক্ষতিকরুন= ইউক্লিপটাস
✔‘উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী’ বনাঞ্চল ১২টি জেলায় করা হয়েছে
✔বাংলাদেশে বন গবেষণা কেন্দ্র চট্টগ্রামে
✔গোলপাতা কাজে লাগে=> ঘরের ছাউনি হিসেবে
✔‘ম্যানগ্রোভ’ => লোনা পানি বা কাদার মধ্যে জেগে থাকা খুঁটির মত এক ধরনের শ্বাস গ্রহণকারী শিকড়বিশিষ্ট গাছকে ‘ম্যানগ্রোভ’ বলে
✔ম্যানগ্রোভ’ দেখতে পাওয়া যায়?=> সুন্দরবন ও কক্সবাজারের উপকূলীয় জলাভূমিতে
✔পৃথিবীর বৃহত্তম ‘ম্যানগ্রোভ’ বন => বাংলাদেশের সুন্দরবন
✔ টাইডাল বন => যে ভূমি জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয় আবার ভাটায় শুকিয়ে যায় তাকে টাইডাল বা জোয়ার-ভাটার বন বলে
✔বাংলাদেশের টাইডাল বন অবস্থিত=> খুলনা ও পটুয়াখালী জেলার দক্ষিণাংশ উপকূলীয় বনভূমি ও সুন্দরবন এই শ্রেণীর বৃহত্তম বন,তাছাড়া কক্সবাজারের চকোরিয়াতেও এই শ্রেণীর বন রয়েছে
✔সুন্দরবন ছাড়া বাংলাদেশের অন্য টাইডাল বন => সংরক্ষিত চকোরিয়া বনাঞ্চল
✔পৃথিবীর বিখ্যাত টাইডাল বনভূমি => সুন্দরবন
✔চট্টগ্রাম ও রাঙামাটি বনাঞ্চলে জন্মে=> গর্জন, জারুল, সেগুন, চাপালিস, গামার, বাঁশ প্রভৃতি
✔বাংলাদেশের শালবৃক্ষের জন্য বিখ্যাত=> ভাওয়াল ও মধুপুরের বনভূমি
✔বিভাগ অনুসারে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বনভূমি রয়েছে => চট্টগ্রাম বিভাগে
✔বিভাগ অনুসারে সবচেয়ে কম বনভূমি রয়েছে => রাজশাহী বিভাগে
✔বর্তমানে দেশে বিভাগ অনুযায়ী বনভূমির পরিমাণ => চট্টগ্রাম বিভাগ ৪৩%, খুলনা বিভাগ ৩৮%, ঢাকা বিভাগ ৭%, সিলেট বিভাগ ৬%, বরিশাল বিভাগ ৩%, রাজশাহী বিভাগ ২%
✔পরিবেশ নীতি ঘোষণা করা হয়=> ১৯৯২ সালে
✔পরিবেশ অধিদপ্তরের পূর্ব নাম => পরিবেশ দূষণ ও নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর
বন সংরক্ষণ আইন প্রণীত হয় => বন আইন-১৯৯০ এবং বন আইন-২০০২
✔সিলেট বনাঞ্চলের প্রধান বৃক্ষ => সেগুন, মেহগনি, জারুল ইত্যাদি
✔মধুপুর ও ভাওয়াল গড়ের আয়তন=> ৪,১০৫ বর্গ কি.মি.
✔বাংলাদেশের রাবার বাগান রয়েছে=> রামু, মধুপুর ও রাউজানে
✔গজারী বৃক্ষ স্থায়ীভাবে পরিচিত=> শাল
✔সুন্দরবনের মৌয়ালীদের পেশা => মধু সংগ্রহ
✔নেপিয়ার’ => এক জাতীয় ঘাস
✔সুন্দরবনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য=> এটি জাতীয় বন, এটি টাইডাল বন ও একক হিসেবে বৃহত্তম বন
✔চিরহরিৎ পাতাঝরা গাছ -যেসব গাছের পাতা এক সঙ্গে ঝরে যায় না এবং পাতাগুলো চির সবুজ থাকে
✔চিরহরিৎ পাতাঝরা বনভূমিতে পাতাঝরা গাছ => গামারী, শিমুল, কড়ই, সেগুন, জারুল
✔ক্রান্তীয় পাতাঝরা বন => ক্রান্তীয় অঞ্চলে যে সব গাছের পাতা বছরে একবার সম্পূর্ণ ঝরে যায়
✔ক্রান্তীয় পাতাঝরা বন পাওয়া যায়=> ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, রংপুর ও দিনাজপুর
✔ক্রান্তীয় পাতাঝরা বনভূমি ভাগ করা হয়=> দু’ভাগে-মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় এবং বরেন্দ্র অঞ্চলের বনভূমি
✔ক্রান্তীয় পাতাঝরা বনে পাওয়া যায়=> কড়ই, হিজল, বহেরা, হরিতকি, কাঁঠাল, নিমa
No comments