ধ্বনির পরিবর্তন
ধ্বনির পরিবর্তন
=====================================
অাদি স্বরাগমের উদাহরণ - স্কুল>ইস্কুল, স্টেশন>ইস্টিশন।
স্বরভক্তি বা বিপ্রকর্ষ এর উদাহরণ- রত্ন>রতন, গ্রাম>গেরাম, প্রীতি>পিরীতি, ধর্ম>ধরম, গ্রাম>গেরাম।
অপিনিহিতিঃ পরের ই/উ-কার অাগেই উচ্চারিত হয়। যেমনঃ অাজি>অাইজ, সাধু>সাউধ, সত্য>সইত্য, বাক্য>বাইক্য।
অসমীকরণঃ একই স্বরের পুনরাবৃত্তি দূর করতে (অা) স্বরধ্বনি যুক্ত হয়। যেমনঃ ধপ+ধপ>ধপাধপ, টপ+টপ>টপাটপ
অাদিস্বর অনুযায়ী অন্ত্যস্বর পরিবর্তিত হলে তাকে বলে- প্রগত স্বরসঙ্গতি। যেমনঃ তুলা>তুলো
স্বরসঙ্গতির উদাহরণ- দেশি>দিশি, বিলাতি>বিলিতি
কোনটি সম্প্রকর্ষ বা স্বরলোপের উদাহরণ- সুবর্ণ>স্বর্ণ, সন্ধ্যা>সাঁঝ
কোনটি ধ্বনি বিপর্যয়ের উদাহরণ- পিশাচ>পিচাশ, লাফ>ফাল
তৎ+হিত>তদ্ধিত কোন ধ্বনির পরিবর্তন- সমীভবন (অল্প বিস্তার সমতা লাভ করে)
দুটি সমবর্ণের একটি পরিবর্তন হলে তাকে বলা হয়- বিষমীভবন।
যেমনঃ শরীর>শরীল, লাল>নাল
দ্বিত্ব ব্যঞ্জনঃ জোর দেয়ার জন্য এক ব্যঞ্জন দুইবার উচ্চারণ। যেমনঃ সকাল>সক্কাল
ব্যঞ্জন বিকৃতির উদাহরণ- কবাট>কপাট, ধোবা>ধোপা
বউদিদি>বউদি হলো ব্যঞ্জন বিচ্যুতি।
শব্দের মাঝে ব্যঞ্জন ধ্বনি লোপ পেলে তাকে বলা হয়- অন্তহর্তি। যেমনঃ ফাল্গুন> ফাগুন, ফলাহার>ফলার
অানানস>অানারস কোন ধরনের পরিবর্তন- ধ্বনিতাত্ত্বিক।
No comments