Breaking News

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরঃ

 ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরঃ (১৮২০-১৮৯১)★★

১। বিদ্যাসাগর কোন সালে জন্মগ্রহন করেন? -
উঃ ১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টম্বর।
২। বিদ্যাসাগর উপাধি দেয়া হয় কোথা থেকে?
উঃ সংস্কৃত কলেজ থেকে
৩। বাংলা গদ্যের জনক হিসেবে খ্যাত কে?
উঃ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
৪। বাংলা গদ্যে যতি বা বিরামচিহ্ন প্রথম স্থাপন করেন
কে?
উঃ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
৫। ঈশ্বরচন্দ্রের কয়েকটি মৌলিক রচনার নাম কী কী ?
উঃ অতি অল্প হইল, আবার অতি অল্প হইল, ব্রজবিলাস, বিধবা বিবাহ ও যশোরের হিন্দু ধর্মরক্ষিণী সভা,রত্ন পরীক্ষা।
৬। ঈশ্বরচন্দ্রের কয়েকটি বিখ্যাত গদ্যগ্রন্থের
নাম কি কিঃ
উঃ- বেতাল পঞ্চবিংশতি, শকুন্তলা, সীতার
বনবাস ও ভ্রান্তিবিলাস।
৭। বিদ্যাসাগরের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ কোনটি?
উঃবেতাল পঞ্চবিংশতি (১৮৪৭)
৮। বিদ্যাসাগর রচিত ব্যাকরণগ্রন্থের নাম কি?
উঃব্যাকরণ কৌমুদী
৯। বিদ্যাসাগর কোন আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন?
উঃ বিধবা বিবাহ আন্দোলন
১০। বিদ্যাসাগর কোন সালে মৃত্যুবরণ করেন?
উঃ১৮৯১ সালে।
১১। দীনবন্ধু মিত্রের কোন নাটকের অভিনয় দেখে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মঞ্চে জুতো ছুড়ে মেরেছিলেন?
=নীলদর্পণ।
১২।বাংলা বর্ণমালা স্থায়ী রূপ লাভ করে = ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বারা।
১৩। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (1820- 1891)
অনুবাদ সাহিত্য কর্ম
কৈকেয়ীর ভালবাসা সেবা-শুশ্রূষা পেয়ে রাজা দশরথ মাতালের মতো দুটি উপহার দিলেন[( বেতাল পঞ্চবিংশতি, 1847) এতে যে তিনি ভ্রান্তির বাসনায় ছিলেন তার( ভ্রান্তিবিলাস : Comedy of errors by w. Shakespear) প্রমাণ হলো প্রথমে ভরতকে সিংহাসনে বসাতে হবে দ্বিতীয়তঃ সীতা রাম কে (সীতার বনবাস: বাল্মিকী রামায়ণ অবলম্বনে) 14 বছরের জন্য বনবাসে পাঠাতে হবে এবং (শকুন্তলা: কালিদাসের অভিজ্ঞান শকুন্তলা বঙ্গানুবাদ।
 বেতাল পঞ্চবিংশতি: লালু জির হিন্দি বৈতাল পৈচ্চিসির বঙ্গানুবাদ। এই গ্রন্থে সর্বপ্রথম যতিচিহ্ন ব্যবহৃত হয়। বিদ্যাসাগরের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ বেতালপঞ্চবিংশতি।
 ভ্রান্তিবিলাস:উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের কমেডি অফ এররস এর বঙ্গানুবাদ। উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের রচনা প্রথম অনুবাদক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
 সীতার বনবাস: বাল্মিকী রামায়ণ অবলম্বনে রচিত
 শকুন্তলা: মহাকবি কালিদাসের অভিজ্ঞান শকুন্তলম এর বঙ্গানুবাদ।
মৌলিক রচনা:10 বছর বয়সী প্রভাবতী বিবাহ হয় 60 বছর বয়সী এক বৃদ্ধের সাথে । যার নাম ব্রজবিলাস। ব্রজবিলাস বিয়ের বছর তিনেক পর মারা যায়। প্রভাবতী হলো বিধবা। বিদ্যাসাগর খুবই ব্যথিত হলেন । বিদ্যাসাগর বহু বিবাহের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন। তাই তিনি বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কিনা এতদ্বিষয়ক বিচার চাইলেন কোর্টে । কোর্ট তাঁর পক্ষে রায় দিলেন।
তৎকালে বিধবাদের জন্য সাদা থান ও নিরামিষ ছিল জীবনধারণের একমাত্র উপায় ও উপকরণ।বাল্য বিধবার প্রতি এই অন্যায় প্রথা সহ্য করতে না পেরে তিনি আবারও বিধবা বিবাহ প্রচলিত হওয়া উচিত কিনা এতদ্বিষয়ক প্রস্তাব আনলেন কোর্টে।কোর্টে এ বিষয়ে উদার উদাহরণ দেখাতে বললেন। এ বিষয়ে অবগত হয়ে তিনি নিজ পুত্র নারায়নের সাথে প্রভাবতীকে বিবাহ দিলেন এবং কোর্টে প্রমাণসহ উপস্থাপন করলেন। তবে বঙ্কিমচন্দ্র বিধবা বিবাহের বিপক্ষে ছিলেন। তাই তিনি তার সাহিত্যকর্মে বিদ্যাসাগরকে নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করতেন। এতে বিদ্যাসাগর অতি অল্প হইল (1873) শিরোনামে বিধবা বিবাহের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরলেন ।তাসত্বেও বঙ্কিমচন্দ্র নিবৃত হলেন না। অবশেষে বিদ্যাসাগর আ
বার অতি অল্প হইল (1873) শিরোনামে বিধবা বিবাহের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে শাস্ত্রীয় প্রমাণ হিসেবে পরাশর সংহিতা উপস্থাপন করলেন।
 প্রভাবতীর সম্ভাষণ: বাংলা সাহিত্যের প্রথম মৌলিক শোকগাঁথা
 ব্রজবিলাস বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কিনা এতদ্বিষয়ক বিচার
 বিধবা বিবাহ প্রচলিত হওয়া উচিত কিনা এতদ্বিষয়ক প্রস্তাব:
 অতি অল্প হইল:
 আবার অতি অল্প হইল:
পাঠ্য বিষয়ক রচনা:
প্রথমে একটি শিশু কথা বলে( কথামালা ক্লাসিক- 1855)। তারপর বর্ণপরিচয় শেখার জন্য আদর্শলিপি কিনে দেয়া হয়। এতে তার মধ্যে বোধবুদ্ধি (বোধোদয়) জন্ম নেয়। বড় হলে ছন্দ মিলিয়ে কাহিনী -আখ্যান লিখতে শিখে (আখ্যান মঞ্জুরী)
 কথামালা
 বর্ণপরিচয়
 বোধোদয়
 আখ্যান মঞ্জুরী

No comments