বিজ্ঞানের কিছু মজার তথ্য
চমকপ্রদ সব আবিষ্কার, চোখ ধাঁধিয়ে দেয়া সব প্রযুক্তি, এমন সব পরিসংখ্যান যা আমাদের বদ্ধমূল ধারণাকে ওলটপালট করে দেয়—এসব কিছুই বিজ্ঞানের কূট কৌশল! সব বিষয়ের মতো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়েও অনেক মজার তথ্য রয়েছে। চলুন জেনে নিই এমন কিছু তথ্য-
১. সচরাচর পানি ফুটানোর সময় আমরা কী দেখি? বুদবুদ আকারে অনেকগুলো পানির ফোঁটা পাত্রের উপরের দিকে উঠে এসেছে। কিন্তু কেউ যদি মহাকাশে যেয়ে কোনোভাবে পানি ফোটানোর চেষ্টা করে, তাহলে কিন্তু এ ঘটনা ঘটবে না। অনেকগুলোর পরিবর্তে একটা দানবাকৃতির বুদবুদ উঠে আসবে।
২. মহাবিশ্বের সমগ্র ভরের প্রায় ৮০ ভাগই ডার্ক ম্যাটার দিয়ে তৈরি। ডার্ক ম্যাটার জিনিসটা বড় অদ্ভুত, এটা কোনো আলো প্রতিফলিত করেনা। যদিও ৬০ বছর আগে এদের অস্তিত্বের তত্ত্ব হাজির করা হয়েছিলো, তবু এখন পর্যন্ত এদের অস্তিত্বের কোনো যথাযথ প্রমাণ নেই।
৩. কোনো অনুভূতি স্নায়ুতন্ত্রের মধ্য দিয়ে ঘন্টায় ২০০ মাইল বেগে প্রবাহিত হয়।
৪. দেহে ও মনে অনুভূতি আসলে তা মস্তিষ্কে পৌঁছতে ০.১ সেকেন্ড সময় লাগে।
৫. মহাবিশ্ব কিন্তু তার চেয়েও বিশাল! বিজ্ঞানীদের মতে মহাবিশ্বের প্রায় শতকরা ৭৫ ভাগই ডার্ক ম্যাটার এবং ডার্ক এনার্জি রূপে আছে। আমাদের এই মহাবিশ্ব কিন্তু সম্প্রসারণশীল।
৬. একজন শিশুর জন্মের সময় হাড় থাকে ৩৫০ টি।
৭. পৃথিবীর বাইরে অন্য কোনো গ্রহে প্রাণ থাকুক বা না থাকুক পৃথিবীর সকল পরিবেশেই কোন না কোন প্রাণি দেখা যায়ই। আর এই প্রাণের অস্তিত্ব এমন অনেক স্থানে দেখা যায় যেখানে কল্পনাও করা যায় না কোনো প্রাণী থাকতে পারে। অ্যান্টার্কটিকার বরফের নিচে কিংবা তপ্ত মরুভূমিতে সবখানেই দেখা যায় প্রাণের অস্তিত্ব। আর পানির নিচের প্রাণিদের সম্পর্কে বলতে গোলে আমরা কিছুই জানিনা।
৮. একজন মানুষ সারা জীবনে ৪০ হাজার লিটার মূত্র ত্যাগ করে।
৯. মানুষের মতো পিঁপড়ার কিন্তু কান নেই! তাহলে এরা শোনে কিভাবে? ওদের হাঁটু আর পায়ে আছে বিশেষ সেন্সিং ভাইব্রেশনস। যার মাধ্যমে তারা আশেপাশের পরিস্থিতি বুঝতে পারে!
১০. পাথর থেকে মানুষের দেহের হাড় ৪ গুণ বেশি শক্তিশালী।