Breaking News

বিজ্ঞানের মজার তথ্য

আমাদের চারপাশেই বহু জিনিস আছে যা সাধারণভাবে দেখলে খুবই স্বাভাবিক মনে হতে পারে। তবে বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে দেখলে এর মধ্যেই পাওয়া যাবে কিছু মজার তথ্য। এমনই কিছু তথ্য দেওয়া হলো। তথ্যগুলো একই সঙ্গে মজার ও শেখার বিষয়ও বটে।
 
খরগোশ ও টিয়াপাখি দুটোই খুব সুন্দর প্রাণী। অনেকেই এগুলো বাসায় পোষে। তবে বাসায় থাকা খরগোশ বা টিয়াকে পেছন থেকে চুপি চুপি এসে চমকে দেওয়ার চেষ্টা বৃথা। কারণ এই দুটি প্রাণী মাথা না ঘুরিয়েও পিছনে কী ঘটছে দেখতে পায়।

কোনো খাবারের স্বাদ জানতে আমরা জিহ্বা ব্যবহার করি। চিন্তা করো তো প্রায় সব প্রাণীরই তো জিহ্বা আছে, তাই না। আচ্ছা হাত বা পা দিয়ে কখনো খাবারের স্বাদ জানা যায়! অবিশ্বাস্য মনে হলেও প্রজাপতি এই কাজটিই করে। প্রজাপতি কোনো খাবারের ওপর বসে পা দিয়ে এর স্বাদ নেয়। কারণ মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর ক্ষেত্রে স্বাদ গ্রহণের গ্রন্থি থাকে জিহ্বায়। কিন্তু প্রজাপতির ক্ষেত্রে এই গ্রন্থি থাকে পায়ে।

প্রায় প্রতিদিনই তো বাসায় ঘর ঝাড়ু দেওয়া হয়। খেয়াল করে দেখো এর মধ্যে ধুলার মতো ময়লা থাকে। আর এই ময়লার মধ্যে তোমার শরীরের ত্বকের কোষও আছে। মজার বিষয় হলো, আমাদের বাড়িঘরের ধুলোর মতো গুঁড়ো ময়লার অধিকাংশই আমাদের শরীর থেকে ঝরে যাওয়া মৃত ত্বক কোষ।

আদিকালে পৃথিবীজুড়ে ঘুরে বেড়াত ডাইনোসরসহ বিভিন্ন প্রাগৈতিহাসিক প্রাণী প্রজাতি। বৃহদাকৃতির ডাইনোসরের একটি প্রজাতি ছিল স্টেগোসাউরাস। প্রায় নয় মিটার লম্বা দাবনাকৃতির এই ডাইনোসর প্রজাতির মস্তিষ্ক ছিল কাঠবাদামের সমান।

খাটো বলে মন খারাপ। লম্বা হওয়ার এক বুদ্ধি বাতলে দিতে পারি। মহাকাশচারী হও, এতে একটু হলেও লম্বা হতে পারবে। বিস্ময়কর মনে হলেও সত্যি, মহাকাশে কিছুদিন টানা থাকলে উচ্চতা কিছুটা বাড়ে। মহাকাশে অভিকর্ষণ বল না থাকায় মানুষের শরীরের ওপর নিচের দিকে টান থাকে না। এ কারণে মানুষের উচ্চতা বাড়ে।

অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের বিশেষ বৈশিষ্ট্যের প্রাণী ক্যাঙ্গারু আর ইমু পাখি। লাফিয়ে লাফিয়ে চলা আর পকেটে বাচ্চা রাখার জন্য ক্যাঙ্গারু সবার কাছেই মোটামুটি পরিচিত। আচ্ছা ক্যাঙ্গারুকে কখনো পেছনে হাঁটতে দেখেছো কেউ। উত্তর হবে ‘না’। পায়ের গঠনের কারণে ক্যাঙ্গারু ও ইমু পাখি পেছনে হাঁটতে পারে না বললেই চলে।

চিড়িয়াখানায় জলহস্তী দেখেছো। বিশালদেহী প্রাণীটির পা বেশ ছোট হলেও এটি মানুষের চেয়ে দ্রুতগতিতে দৌড়াতে পারে। আর দেখতে নিরীহ হলেও জলিহস্তী কিন্তু হিংস্রতম প্রাণীর একটি।

কাঁটাঘড়ি দেখেছো। তিনটি কাঁটায় দেখায় সেকেন্ড, মিনিট আর ঘণ্টা। এই ঘড়িতে ব্যাটারি না থাকলে বা নষ্ট হয়ে গেলেও কিন্তু দিন-রাত মিলে ২৪ ঘণ্টায় অন্তত দুবার সঠিক সময় দেখায়।

মানুষ কখনোই চোখ খোলা রেখে হাঁচি দিতে পারে না। হাঁচি এলে মানুষের চোখ আপনাআপনিই বন্ধ হয়ে যায়।

১০
ইংরেজি বলায় অনেকেই বেশ সাবলীল। এই ইংরেজি বাক্যটি দ্রুত বলার চেষ্টা করে দেখো তো— Sixth sick sheik’s sixth sheep’s sick